পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিভিন্ন সময়ে রোজভ্যালি ও তার সহযোগী সংস্থা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঋণ নিয়েছে গৌতম কুণ্ডুর স্বর্ণবিপণী সংস্থা। সবচেয়ে বেশি টাকা ধার নেওয়া হয়েছে ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে। যখন চিটফান্ড ব্যবসা লাটে উঠেছে। হিসেব পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, স্বর্ণবিপণী সংস্থা ওই টাকা পরিশোধ করেনি। সব মিলিয়ে ঋণের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা। এই তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। ওই জুয়েলারি সংস্থা দেখিয়েছে, সোনা কিনতে গিয়েই বেরিয়ে গিয়েছে ঋণের টাকা। এমনকী বাজার থেকেও টাকা ধার নিতে হয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান হয়েছে। এখান থেকেই সন্দেহের সূত্রপাত। হেফাজতে থাকা শুভ্রা কুণ্ডুকে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছেন, এই বিষয়ে স্বর্ণবিপণী সংস্থার এক ম্যানেজার তথ্য দিতে পারবেন। তিনিই গোটা বিষয়টি দেখভাল করতেন। কেন টাকা ধার নেওয়া হয়েছিল, তা তিনি জানেন না। কারণ তিনি সংস্থার একজন বেতনভুক কর্মচারী ছিলেন মাত্র। ওই ম্যানেজারের নাম জানার পর তাঁর সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করেন অফিসাররা। জানতে পারেন, গৌতম কুণ্ডু জেলে যাওয়ার পর ওই ম্যানেজারই বকলমে রোজভ্যালির আর্থিক বিষয় দেখভাল করতেন। মূল সংস্থা থেকে কৌশলে টাকা বের করে স্বর্ণবিপণী সংস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপর ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে ওই টাকা পাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিবিআইয়ের দাবি, পুরোটাই হয়েছিল ওই ম্যানেজারের মাধ্যমে। আর সবটাই জানতেন শুভ্রাদেবী। তাঁর নির্দেশেই কাজ করতেন ওই ম্যানেজার। পরে ওই টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে। মানি রুটের হদিশ পেতেই এদিন ওই ম্যানেজারের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া নথি পরীক্ষা করে অফিসাররা দেখেছেন, রোজভ্যালি ও তার কোন কোন সহযোগী সংস্থার টাকা স্বর্ণবিপণী সংস্থায় ঢুকেছিল। ওই টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে এবং কার কার কাছে গিয়েছে, তা জানতেই ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।