কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভিক্টোরিয়ার ঘটনার প্রতিবাদে চাঁপাডালি মোড় থেকে রথতলা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। নেতৃত্বে দেন সাংসদ দোলা সেন। দীর্ঘ মিছিলের পর রথতলায় জনসভা করা হয়। কাকলি দেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি যখন সেখানে বলতে উঠছেন, তখন এক ধরনের ধ্বনি দিয়ে তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে। এসব বাঙালি মানবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের মাধ্যমে তারা বাংলার সমস্ত মাকেই অপমান করেছে। তিনি আরও বলেন, পেট মোটা নেতারা বিশ্বভারতীতে গেলে, তাঁদের ছবির পায়ের কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে রাখা হয়! যখন প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে আসেন, তখন তাঁর ছবির নীচে নেতাজির ছবি রাখা হয়! এটা কোন ধরনের অহমিকা? এটা কোন দেশীয় সংস্কৃতি? আমাদের যারা অপমান করতে চাইছো তাদের সাবধান করে বলছি, কেউটের লেজে পা দিয়ো না। ছোবল কিন্তু মাথায় লাগবে। কাকলি দেবী আরও বলেন, আমাদের দেশনায়ক ও প্রতিটি বাঙালির নয়নের মণি সুভাষচন্দ্র বসু। তাঁর যুদ্ধ ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। ব্রিটিশ সংস্কৃতির কেন্দ্রে কীভাবে নেতাজির জন্মজয়ন্তীর আয়োজন করা হল? ওখানে অনুষ্ঠান করে নেতাজিকেই অপমান করা হয়েছে। এই অধিকার ওঁদের কে দিয়েছে?
অন্যদিকে, হাবড়ার এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ভিক্টোরিয়ায় যা হয়েছে তা শুধু অনৈতিক নয়, বিজেপির আদর্শগত দেউলিয়াপনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এদেরকে এতদিন ‘বানর সেনা’ বলতাম। এবার থেকে ওদের নেতাদের বাঁদর বলব। অন্যদিকে, এদিন ওই ঘটনার প্রতিবাদে মধ্যমগ্রামে বিধায়ক রথীন ঘোষের নেতৃত্বে বাদামতলা থেকে দিগ্বেড়িয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল হয়। গড়িয়াহাট মোড়ে প্রতিবাদে সরব হন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন। তিনি বলেন, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিবাদের ভাষাকে কুর্নিশ জানাই। জয় বাংলা, জয় মমতা। তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল বেরয় দমদমে সেন্টমেরিজ স্কুল থেকে নাগের বাজার পর্যন্ত। তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্যবাবু বলেন, নেতাজির সঙ্গে রামের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি পরিকল্পনামাফিক দলীয় নেতাদের সরকারি অনুষ্ঠানে এনে এই স্লোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে। অন্যদিকে, বারাসতে ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মসূচিতে এসে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও ভিক্টোরিয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পাশাপাশি এই ঘটনাকে বিজেপি ও তৃণমূলের সেটিংও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।