পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রবিবার কৃষ্ণনগরে হাসাডাঙায় দলের শিক্ষা সেলের বৈঠকে যোগ দিতে আসেন দিলীপ। সেখানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। যথারীতি তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছেঠ রাজনৈতিক মহলেও। শুধু তৃণমূল নয়, আরএসপি, সিপিএমের পাশাপাশি শিক্ষক, ছাত্র, সাধারণ মানুষও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাতে অবশ্য দিলীপের কিছু যায় আসে না। সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নিজের শরীরী ভাষাতেই।
শনিবার কলকাতার ভিক্টোরিয়ায় নেতাজির জন্মজয়ন্তী উদযাপনের সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য রাখার আগে বারবার ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে দর্শকাসন থেকে। প্রতিবাদে বক্তব্য না রেখেই পোডিয়াম ছাড়েন মমতা। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে গেরুয়া শিবির। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এ নেমে দলের একাংশ ঘটনাটিকে ‘অনভিপ্রেত’ অ্যাখ্যা দেয়। কিন্তু এদিন দিলীপবাবু স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বুঝিয়ে দেন, তিনি সমালোচনার ধার ধারেন না। উল্টে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর দাবি, ‘জয় শ্রীরাম স্লোগান দিলে মুখ্যমন্ত্রী পুলিস দিয়ে জেলে ঢোকানোর কথা বলেন। তাই তাঁর ওটাই প্রাপ্তি ছিল।’ এর পরেই দিলীপের কটাক্ষের সুরে সংযোজন—‘যিনি রামের নাম শুনতে পারেন না, তার অন্তিম সময় এসে গিয়েছে।’
আর নেতাজির প্রসঙ্গ উঠতেই দিলীপবাবু জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমরা একশোবার রাজনীতি করবই। কারও বাবার হিম্মত থাকলে আটকে দেখাক।’ তাঁর এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে নদীয়া জেলা পরিষদের মেন্টর বাণীকুমার রায় বলেন, ‘দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কিছু বলতে হলে নিজেকে ছোট মনে হয়। নেতাজি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁকে নিয়ে কেউ রাজনীতি করার হুঙ্কার ছাড়লে বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না।’ আরএসপির নদীয়া জেলা সম্পাদক সুবীর ভৌমিক বলেন, ‘সুভাষচন্দ্র রাজনীতি করতেন ঠিকই। তবে তাঁকে নিয়ে বিজেপি নেতারা যেভাবে রাজনীতির কথা বলছেন, তার তীব্র নিন্দা করি।’
রানাঘাটের পূর্ণনগর পূর্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৌগত ঘোষ বলেন, ‘নেতাজির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে স্বাধীন করা। সুতরাং সেই রাজনীতির সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক করে দেখলে চলবে না। এই ধরনের মন্তব্য সমর্থন যোগ্য নয়।’