রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
খড়দহ শহরে বি টি রোডের ধারেই ছিল ইসব কারখানা। লোহার ঝালাই সংক্রান্ত জিনিসপত্র তৈরি হতো। এই কারখানার খুব সুনাম ছিল। আগে এই কারখানা ইন্ডিয়ান অক্সিজেন নামে পরিচিত ছিল। এটি বন্ধ হওয়ার পর অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েন। বর্তমান রাজ্য সরকার এই কারখানা খোলার জন্য অনেকবারই উদ্যোগ নিয়েছিল। কারণ, খোদ রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্রের নির্বাচনী এলাকা হল এই খড়দহ। সম্প্রতি, খড়দহের পুর প্রশাসক কাজল সিনহা নতুন করে এই কারখানা খোলার উদ্যোগ নেন। তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এনিয়ে কথা বলেন। কর্তৃপক্ষ এখানে নতুন শিল্পতালুক তৈরির প্রস্তাব দেয়। তারপর পুরসভার পক্ষ থেকে সেই প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়। পরিশেষে রাজ্য সরকার সবুজ সঙ্কেত দেয়। শিল্পতালুকের খবরে খড়দহে নতুন করে আশার আলো দেখছেন এলাকার মানুষ।
জানা গিয়েছে, ৯.৩১ একর জমির উপর এই শিল্পতালুক তৈরি হবে। সম্পূর্ণ নন-পলিউশন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে। একটি বহুতল তৈরি করা হবে, যেখানে শিল্প ও উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্ত পরিকাঠামো থাকবে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টা জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, সলিড ওয়েস্ট ডিসপোজাল সিস্টেম সহ যাবতীয় ব্যবস্থা থাকবে। এই শিল্পতালুকে ইলেট্রনিক্স, ই-কর্মাস, ফুড প্রসেসিং, প্যাকেজিং সহ বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন শিল্প থাকবে। এলইডি টিভি, মোবাইল সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি হবে। যে যে সংস্থা বা কোম্পানি এখানে উৎপাদন করবে, তাদের জন্য শিল্পতালুকেই কনভারশন, পলিউশন সহ সমস্ত সরকারি অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকবে।
কর্তৃপক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে এই শিল্পতালুকের সূচনা করতে চাইছে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে শিলান্যাসের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। খড়দহের পুর প্রশাসক কাজল সিনহা বলেন, এ রাজ্যে বহুবার শিল্পস্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক যুগ পর ইসব কারখানায় শিল্পতালুক তৈরি হবে। প্রত্যক্ষ ১৫ হাজার কর্মসংস্থান হওয়া মানে বহু বেকার যুবক-যুবতী উপকৃত হবেন। পাশাপাশি খড়দহের আর্থ-সামাজিক অবস্থারও উন্নতি হবে। এই শিল্পতালুক তৈরির জন্য আমরা সর্বতো সহযোগিতা করছি। আমরাও চাই, দ্রুত এই শিল্পতালুক তৈরি হোক।