বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নির্বাচন কমিশন যেদিন প্রথম জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ জারি করেছিল, তখন রাজ্যে পড়ে থাকা প্রেপ্তারি পরোয়ানার সংখ্যা ছিল ৫২ হাজারের মতো। পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন রাজ্যে ১৭ ডিসেম্বর বৈঠক করে এনবিডব্লু কার্যকর করতে নির্দেশ দেন। এরপরেই রাজ্য পুলিস কাজ শুরু করে। গত এক মাসে রাজ্যে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা ১১ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিস। কিন্তু বাকি রয়ে গিয়েছে ৪১ হাজার। সেই তালিকাও কমিয়ে আনার জন্য নির্দেশ চলে গিয়েছে পুলিসের উপরমহল থেকে।
কেন এত বকেয়া রয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা তথা রাজ্য পুলিসের নোডাল অফিসার জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, গত ন’মাস করোনার কারণে বহু পুলিস কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনেকে মারা গিয়েছেন। এর সঙ্গে ছিল উম-পুনের তাণ্ডব। এই সব নিয়ে পুলিস খুবই ব্যস্ত ছিল। করোনা আবহে তাই জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা যায়নি। তবে এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, বাকি যা আছে, তা কার্যকর হয়ে যাবে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পরে জেলায় জেলায় জামিন অযোগ্য প্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
শুধু জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নয়, বৈঠকে পুলিস সুপারদের কাছে রাজনৈতিক সংঘর্ষে কত জন প্রেপ্তার হয়েছেন এবং কতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা জানতে চান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকজন জেলাশাসকের রিপোর্টে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার খুশি হলেও, অসন্তুষ্ট ছিলেন পুলিস সুপারদের রিপোর্ট নিয়ে। সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসকদের রিপোর্ট নিয়ে যে তিনি সন্তুষ্ট, তাও উল্লেখ করেছেন। পুলিস সুপারদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও সচেষ্ট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
তবে তিনি কয়েকটি জেলায় ভোটার তালিকায় অস্বাভাবিকভাবে নাম ওঠায় প্রশ্ন তুলেছেন। কয়েকজন জেলাশাসককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাও করেছেন। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, দুই মেদিনীপুর জেলায় ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে অনেক। কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে নাম ওঠার হার অস্বাভাবিক বলে মনে করছে কমিশন। কেন এত হারে নাম উঠল, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এবার ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩ জনের। আর নাম বাদ পড়েছে ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ২১ জনের। উল্লেখ্য ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলের তরফে অভিযোগ আসায় কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আগামী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৩২ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯৮০ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।