রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লক্ষাধিক ডোজের কোভ্যাকসিন পাঠানোর পাশাপাশি আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাকসিনের ৩৬ পাতার ফ্যাক্ট শিট পাঠানো হয়েছে রাজ্যে। তা থেকে এদিন জানা গিয়েছে জরুরি কয়েকটি তথ্য। ১. প্রত্যেক ভ্যাকসিন প্রাপককে তিনটি ফর্ম দেওয়া হবে। কোভ্যাকসিন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সম্বলিত ‘ইনফরমেশন শিট’, ন’টি প্রশ্ন সম্বলিত তিন পাতার অনুমতিপত্র ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যাডভার্স ইডেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন সংক্রান্ত ফর্ম। ২. ন’টি প্রশ্নের উত্তর লিখে অনুমতিপত্রে সাক্ষর না করলে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপক কোভ্যাকসিন পাবেন না। ৩. সই করার সময় পাশে সাক্ষী থাকবে। তিনিও ফর্মে সই করবেন। ৪. প্রথম ডোজের টিকা নেওয়ার পর টানা সাতদিন তাঁর শারীরিক অবস্থা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফর্মে নথিভুক্ত করতে হবে। ২৮ দিনে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগে সেই ফর্ম জমা দিতে হবে। ৫. দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ফের টিকা প্রাপককে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার আরও একটি ফর্ম দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার দিন থেকে সপ্তম দিন পর্যন্ত শারীরিক অবস্থা নথিভুক্ত করতে হবে। ৬. গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সরকারি স্তরের চিকিৎসা মিলবে। মিলবে ক্ষতিপূরণও। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক স্থির করে দেবেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। কোভিড টিকাকরণে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত রাজ্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি’র সদস্য ডাঃ জ্যোর্তিময় পাল বলেন, মৃত করোনা ভাইরাস দিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি। পোলিও, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি ভ্যাকসিনও এইভাবেই তৈরি। বহুবার পরীক্ষিতও। তাই আমাদের ধারনা এই ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই কম হবে। এদিনের বৈঠকে আইসিএমআর-এর তরফে উপস্থিত ছিলেন মহামারীবিদ্যার প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা, ডাঃ এম কে আগরওয়াল প্রমুখ। কীভাবে টিকাকরণ বাস্তবায়িত করা হবে, তা ১৬ পাতার পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন-এ তুলে দেওয়া হয়।
আইসিএমআর কর্তাদের কাছে রাজ্যের কর্তারা জানতে চান, যে কোনও রক্ত পাতলা করার ওষুধ (অ্যান্টি-কোয়াগুলেন্ট) খেলেই কি কোভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না? আইসিএমআর কর্তারা বলেন, তা নয়। শুধুমাত্র ওয়ারফেরিন গোষ্ঠীর অ্যান্টি কোয়াগুলেন্ট খেলে এই ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত হবে না। যদিও এতটা কড়াকড়ি না করে সাবধানতা নেওয়া হলেই টিকা নেওয়া সম্ভব, এমনই মত বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাশ বিশ্বাসের।