পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। তার আগে নেতাজি ভবন ও শ্যামবাজারে নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সাইরেন বাজানো হয়। তারসঙ্গেই শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় বাংলা। মুখ্যমন্ত্রীও নেতাজি মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে শাঁখ বাজান। তারপরই শুরু হয় পদযাত্রা। সমাজের সর্বক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন, প্রশাসনিক কর্তারা পদযাত্রায় অংশ নেন। শামিল হন রাজ্যের সাধারণ মানুষও। নেতাজির ছবি, তাঁর বক্তব্য সম্বলিত ফ্লেক্স, প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে সব বয়সের মানুষের হাতে। রাস্তার দু’ধারেও ছিল ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ হোর্ডিং। জাতীয় পতাকাও তুলে ধরা হয়। যাত্রাপথের অধিকাংশ অংশজুড়েই ছিল তেরঙ্গা বেলুন। আবার বাংলা কীভাবে দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান পেয়েছে, তার বার্তাও বিভিন্ন জায়গায় তুলে ধরা হয়েছে। মমতাকে দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে অগনিত মানুষকে দেখা গিয়েছে। এমনকী, দোতলার ব্যালকনি থেকে মমতার পদযাত্রা ক্যামেরাবন্দি করেছেন শহর কলকাতার মানুষ।
পরে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি দাবি করেন, কলকাতায় হোক দেশের রাজধানী। মমতা বলেছেন, কলকাতা একদিন ভারতের রাজধানী ছিল। তাহলে ভারতের একটা রাজধানী কলকাতায় কেন হবে না? আমি মনে করি, দেশের একটা রাজধানী কলকাতায় হতে হবে। কেন এমন দাবি, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, নবজাগরণ, সমাজিক সংস্কার, রেনেসাঁ-সব জন্ম দিয়েছে বাংলা। স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্মদাতা ছিল বাংলা-বিহার। সেই বাংলাকে অবহেলা নয়। কেন্দ্রের কাছে মমতার দাবি, একটা রাজধানী কেন থাকবে! ভারতের রাজনীতি দেশের চার প্রান্তে হওয়া উচিত বলে মনে করি। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে।
মমতা এও মনে করে সংসদের অধিবেশনও দেশের চার কেন্দ্রে হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, সংসদের অধিবেশন ভারতের চার জায়গায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে করা উচিত। কখনও অন্ধপ্রদেশ, কর্নাটক, তামিলনাড়ু বা কেরলে। আবার উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে। একটা অধিবেশন বিহার, বাংলা, ওড়িশায় আর একটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেন হবে না। এই বিষয়টি আসন্ন সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরার কথা দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন মমতা।
নেতাজির জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন আজাদ হিন্দ বাহিনী মনুমেন্ট তৈরি হবে বাংলায়। সেইসঙ্গে ২৩ জানুয়ারিকে ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণার দাবি ফের কেন্দ্রের কাছে রাখেন। নেতাজির জন্মদিন জানা আছে, কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন, সেই তথ্য সামনে আসা উচিত বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজি প্ল্যানিং কমিশন গঠন করেছিলেন। তা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তিনি। নীতি আয়োগ তৈরি হতে পারত, কিন্তু প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া নিয়ে নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতাজির নামাঙ্কিত ডক-এর নাম পরিবর্তন নিয়েও ক্ষোভ জানিয়েছেন তিনি। তরুণের স্বপ্ন, কল টু দ্য নেশান বই দুটি সকলে পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকী শিক্ষা দপ্তরকে বই দুটি আবশ্যিক করতে বলেছেন।