দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারের একটি মাধ্যমিক স্কুলের এক শিক্ষক ৪৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী। তাঁকে কোচবিহারের যে স্কুলে বদলি করা হয়েছে, সেটি তাঁর বাড়ি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। অথচ আগের স্কুলের দূরত্ব ছিল ৫০ কিমি। নতুন স্কুলটি আরও প্রত্যন্ত এলাকায়। বর্ধমানের কেতুগ্রাম এলাকার একটি স্কুলের একজন ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিক্ষককে কাছাকাছি একটি স্কুল থেকে প্রায় ৫৫ কিমি দূরে বীরভূমের একটি স্কুলে বদলি করা হয়েছে। অথচ আগের স্কুল থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব ছিল ৩৫-৩৭ কিমি। মেদিনীপুরের এক শিক্ষিকাকেও ৩৫ কিমি দূরের স্কুল থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরের স্কুলে বদলি করার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর শরীরের একাধিক অংশে প্লেট বসানো রয়েছে। শুধু দূরত্বই নয়, যাতায়াতের সমস্যাও বিপদের একটা বড় কারণ। রাজেশ দে নামে ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী এক শিক্ষক ফেসবুকে সোচ্চার হয়েছেন নিজের বদলিতে অসন্তুষ্ট হয়ে। তাঁর দাবি, বর্তমান স্কুল তাঁর বাড়ি থেকে ৫৫ কিমি দূরে। কিন্তু যে স্কুলে তাঁকে বদলি করা হয়েছে, তা বাড়ি থেকে প্রায় ৭৫ কিমি দূরে অবস্থিত। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার যেখানে চাইছে শিক্ষকদের সমস্যার সমাধান করতে, সেখানে অজ্ঞাতকারণে অসন্তোষের জন্ম নিচ্ছে। ভোটের আগে বিষয়টি বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যেই বিজেপির শিক্ষা সেল এবং আরএসএসের শিক্ষক সংগঠন বদলিকে ইস্যু করে কর্মসূচি নিয়েছে।
এখন বদলি নিয়ে আরও কড়া হয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। আগে অর্ডারে লেখা থাকত, আগের স্কুল থেকে রিলিজ লেটার পাওয়ার পাঁচদিনের মধ্যে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে। এখন লেখা থাকছে, অর্ডারের তিনদিনের মধ্যে রিলিজ করতে হবে শিক্ষককে। অর্থাৎ, দ্রুত বদলি কার্যকর করতে চাইছে দপ্তর। ফলে এই প্রতিবন্ধী শিক্ষকরাও পড়েছেন ফ্যাসাদে। এঁদের ভবিষ্যৎ কী, তা জানতে ফোন করা হয়েছিল স্কুলশিক্ষা কমিশনার অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাসকে। তবে ফোন বেজে গিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবে রূপায়ণ হচ্ছে না। এই বিতর্কিত বদলিগুলি অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।