পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, রাজ্যের সেচদপ্তর, পূর্তদপ্তর, জল সম্পদ ও কারিগরি দপ্তর, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ সহ বিভিন্ন দপ্তরে এই কর্মচারীরা কাজ করছেন। মূলত জেলাগুলিই তাঁদের কর্মস্থল। তাঁরা গ্রুপ-সি, এলডিসি, টাইপিস্ট, গাড়িচালক এবং গ্রুপ-ডি বিভাগে কর্মরত। তাঁদের ডেইলি রেটেড ওয়ার্কার্স বলা হয়। গত ৩১ ডিসেম্বর দৈনিক মজুরি বৃদ্ধির নির্দেশিকা বের করে রাজ্য সরকার। ১ জানুয়ারি থেকেই দৈনিক ১৭ টাকা বৃদ্ধি কার্যকর হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রুপ-সি, এলডিসি এবং টাইপিস্ট ক্যাটিগরির কর্মচারীরা বর্তমানে ৩৯৮ টাকা দৈনিক মজুরি পান। এবার তার সঙ্গে যোগ হল ১৭ টাকা। অর্থাৎ, নতুন বছর থেকে দিনপ্রতি তাঁরা মজুরি পাবেন ৪১৫ টাকা। গাড়িচালক ক্যাটিগরির কর্মচারীরা বর্তমানে ৩৯৭ টাকা দৈনিক মজুরি পান। একইভাবে তার সঙ্গে দৈনিক ১৭ টাকা যুক্ত হয়ে তাঁদের দৈনিক প্রাপ্য হবে ৪১৪ টাকা। বর্তমানে ‘গ্রুপ-ডি’ ক্যাটিগরির কর্মচারীদের দৈনিক মজুরি ৩৮৭ টাকা। তাঁদের মজুরি বেড়ে হবে ৪০৪ টাকা।
মজুরি বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ কর্মচারী খুশি। কিন্তু, সবার একই হারে মজুরি বৃদ্ধি না করে বিভিন্ন ক্যাটিগরি অনুযায়ী ভাতা বৃদ্ধির আশায় ছিলেন অনেকে। তাঁদের কথায়, যখন ভাতা বৃদ্ধি হয়, তখন ‘গ্রুপ-সি’ ক্যাটিগরির কর্মীদের সব সময় বেশি টাকা বাড়ে। তার তুলনায় কম বাড়ে ‘গ্রুপ-ডি’ ক্যাটিগরির। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে সমানহারে বেড়েছে। তবে, অনেকেই বলছেন, সকলের সমানহারে টাকা বৃদ্ধি করায় সব ক্যাটিগরির কর্মচারীরা একসঙ্গে উপকৃত হয়েছেন। সমানহারে মজুরি বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। এর আগে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত একই হারে মহার্ঘ ভাতা বেড়েছিল।
এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের মেন্টর মনোজকুমার চক্রবর্তী বলেন, দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা অনেকবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। সরকার মানবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁদের সবার মজুরি বাড়িয়েছে। তাই আমরা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ, এতে প্রায় ১০ হাজার কর্মচারী উপকৃত হবেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি, পরবর্তী পর্যায়ে যেন এঁদের আরও একটু মজুরি বৃদ্ধি করা হয়। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে ডেলি রেটেড ওয়ার্কারদের যাতে রেগুলার পোস্টে নিয়ে আসা হয়, সেই দাবিও জানানো হবে। যাতে তাঁদের জীবন ও ভবিষ্যৎ আরও সুরক্ষিত হয়।