কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঐতিহ্যবাহী হেয়ার স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণীর অনলাইন ক্লাস বন্ধ সেই অক্টোবর থেকে। এ নিয়ে ছাত্র এবং অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। নিচু ক্লাসে অনলাইনে পড়াশোনা প্রায় হচ্ছে না বললেই চলে। একাদশ-দ্বাদশে আবার এমন ক্লাসে পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক অনীহা দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলা-ইংরেজির মতো বিষয় নয়, বিজ্ঞানের বিষয়গুলির ক্লাসেও হাজিরা দিচ্ছে ১০-১৫ শতাংশ ছাত্র। ওই স্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষক সঞ্জয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন এই তথ্য। সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠনের নেতা সঞ্জয়বাবু বলেন, যারা ক্লাসে উপস্থিত হচ্ছে না, তাদের কারও বাড়িতেই যে স্মার্টফোন নেই, এমনটা নয়। আসলে অনীহা থেকেই তারা ক্লাসে যোগ দিচ্ছে না। আবার এটাও ঠিক যে, হেয়ার স্কুলে পড়তে আসা ছাত্রদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা আর আগের মতো নেই। তাই আমাদের কাছে এমন অনুরোধও এসেছে, দিনের পরিবর্তে রাতে ক্লাস নেওয়া হোক। তখন বাড়ির অভিভাবকের কাছে থাকা স্মার্টফোনটি পড়ুয়াদের হাতের নাগালে থাকবে।
নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না, তা মেনে নিয়ে এর প্রধান কারণ হিসেবে সরকারি নির্দেশ না থাকাকেই চিহ্নিত করেছেন উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের শিক্ষক সৌগত বসু। তিনি সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও বটে। সৌগতবাবুর দাবি, অন্যান্য স্কুলের মতো তাঁর স্কুলেও বিক্ষিপ্তভাবে ক্লাস হচ্ছে। তবে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সরকারি নির্দেশিকা নেই বলেও অনেক শিক্ষক গা বাঁচাতে চাইছেন।
অনেকেই দাবি করছেন, অনলাইনে ক্লাস করানোর ক্ষেত্রে স্কুলগুলির উদ্যোগের অভাব রয়েছে। এই কাজ করে থাকেন মূলত সহকারী প্রধান শিক্ষকরা। এদিকে, ৩৯টি সরকারি স্কুলের মধ্যে ৩০টিতেই কোনও সহকারী প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষকই নেই, এমন স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে হেয়ার, আলিপুর মাল্টিপারপাস, বিধাননগর গভর্নমেন্ট, বেথুন, জেনকিনস গভর্নমেন্ট, সুনীতি অ্যাকাডেমি, মহারানি ইন্দিরা দেবী, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুল, বারাকপুর গভর্নমেন্ট, টাকি গভর্নমেন্ট, উত্তরপাড়া গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের মতো নামজাদা সরকারি বিদ্যালয়গুলি। যে সব স্কুলে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষকরা রয়েছেন, সেখানকার ছবিটা আলাদা। হিন্দু স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রজিৎ দত্ত বলেন, প্রথম থেকেই রুটিন মেনে আমাদের সমস্ত অনলাইন ক্লাস হচ্ছে প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। এমনকী আমাদের কাছে এমন অভিযোগও এসেছে, প্রাথমিকে নাকি বেশি ক্লাস হচ্ছে। তাঁদের অনুরোধ, ক্লাসের সংখ্যা যাতে কমানো যায়, তা দেখা দরকার। আমাদের স্কুলে এখনও পর্যন্ত ৫৬টি মক টেস্ট হয়েছে। উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারের তৈরি প্রশ্নাবলিও ছাত্রদের দিয়ে উত্তর করিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্লাসের লেকচার লাইভ করা হয়েছে।