গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এতদিন পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা সহ শর্তসাপেক্ষে দু’একটি সঞ্চয় প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য খুলতে পারতেন গ্রামীণ ডাকসেবকরা। তবে সেসব হিসেব জমা করতে হতো নিকটবর্তী বড় পোস্ট অফিসে। চাইলেই তাঁরা বড় অঙ্কের আমানত করতে পারতেন না। ডাকবিভাগের কর্তাদের বক্তব্য, এই প্রথা চালু হওয়ার পর যতটা সাফল্য আশা করা হয়েছিল, ততটা হয়নি। তাই অন্য পথে কীভাবে সেই সঞ্চয় প্রকল্পে বিক্রির বহর বাড়ানো যায়, তার পথ খুঁজছিল যোগাযোগ মন্ত্রক। এবার তারা নির্দেশিকা দিয়ে জানাল, এখন থেকে কমিশনের ভিত্তিতে ডাকসেবকরাই গ্রামে বসে প্রকল্পগুলি বেচতে পারবেন। সেভিংস অ্যাকাউন্ট, টার্ম ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপেজিটের পাশাপাশি সেই তালিকায় আছে এমআইএস, সিনিয়র সিটিজেন স্কিম, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট, কিষান বিকাশপত্র, সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট এবং পিপিএফ। আধার সংযোগের মাধ্যমে লেনদেনকে আরও জনপ্রিয় করতে ‘দর্পণ’ নামে একটি স্কিম চালু হয় গ্রামীণ শাখা পোস্ট অফিসগুলিতে। তার মাধ্যমেই এই স্কিমগুলির গ্রাহক হওয়া যাবে।
তবে প্রতিবাদ করছেন এজেন্টরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক নির্মল দাস বলেন, আমাদের আপত্তির কয়েকটি কারণ আছে। প্রথমত, কমিশনের ভিত্তিতে গ্রামসেবকরা কাজ করলেও আসলে প্রকল্পগুলির এন্ট্রি করা সহ অন্যান্য কাজগুলি কিন্তু সেই সাব পোস্ট অফিস বা বড় পোস্ট অফিসেই হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মীদের বাড়তি কমিশন পাইয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও সুবিধা হল না। বরং এই পরিস্থিতিতে এজেন্টদের সঙ্গে পোস্ট অফিসের একটা ঠান্ডা ও অস্বাস্থ্যকর লড়াই শুরু হবে। দ্বিতীয়ত, একদিকে স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্পগুলির সুদ কমাতে কোমর বেঁধেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, তলানিতে নামানো হয়েছে এজেন্টদের কমিশন। ফলে এমনিতেই রুটিরুজি এখন বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এই পরিস্থিতিতে যদি ডাকঘর নিজেই কমিশনের বিনিময়ে কাজ করে, তাহলে এজেন্টরা কী করবেন, প্রশ্ন নির্মলবাবুর।