কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ‘দুয়ারে সরকার’ ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষের হাতে কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্যাকেজ রেট নিয়ে বেঁকে বসেছিল বেশ কিছু হাসপাতাল। গত দেড় মাসে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম সহ শীর্ষ আমলারা। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির বক্তব্য তাঁরা শুনছেন। হাসপাতালগুলিকেও বলেছেন সরকারের কাছে প্রস্তাব জমা দিতে। এরই মধ্যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা ব্যক্তিকে কোনও হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দিলে, তার লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। এই হুঁশিয়ারির ফলও মিলছে হাতেনাতে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা তো বটেই, কার্যত গোটা রাজ্য থেকেই স্বাস্থ্যসাথীতে নাম অন্তর্ভুক্ত করার ধুম পড়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলির।
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে আরও একটি খুশির খবর। ১৮ জানুয়ারি পযর্ন্ত এই কার্ডের সুবিধা নিয়ে ভেলোরে ৩৪২ জন ভর্তি হয়েছেন। ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেয়েছেন মানুষ। যখন রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই কার্ডে চিকিৎসা পেতেন, তখন প্রতিদিন গড়ে দু’হাজার জন চিকিৎসা নিতেন। এখন সেই সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছে তিন হাজার।
দপ্তর সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া ৩৫০টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে কলকাতার ২৩টি হাসপাতাল রয়েছে। তালিকায় রয়েছে, বেলভিউ, মেডিভিউ, নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের মতো মাঝারি ও বড় হাসপাতাল ও নার্সিংহোমও। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার ১৪টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি হাসপাতাল এই কার্ডে পরিষেবা দিতে আবেদন করেছে। খতিয়ে দেখে আবেদনগুলি মঞ্জুরও করেছে স্বাস্থ্যদপ্তর। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার উমা ও লেকটাউন নার্সিংহোম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার এইচএসজি ও রেমিডির মতো চেনা বেসরকারি হাসপাতালও রয়েছে।