পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বুধবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে সুখেন্দুশেখর দাবি করেন, নেতাজির ১২৫তম জন্মজয়ন্তী। ফলে কেন্দ্রের উচিত যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো। আর এখানেই একটি বইয়ের কথা তুলে ধরেন সুখেন্দুশেখর। তিনি জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে ইতিহাস বিভাগ রয়েছে। তারা একটি বই তৈরি করে। আজাদ হিন্দ বাহিনী ও নেতাজির স্বাধীনতা সংগ্রামের তথ্য সংবলিত বই এটি। ইতিহাসবিদ প্রতুল গুপ্তের নেতৃত্বে এই বইটি তৈরি করা হয়। কিন্তু কেন সেই বইটি আজও দিনের আলো দেখেনি, সেই প্রশ্নটা তোলেন সুখেন্দুশেখর। বইটি প্রকাশ্যে আনার কথা জানিয়েছেন তিনি। চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে, এই বই প্রকাশ করলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও প্রভাব পড়বে না। তাছাড়া বইটির ১৮৬-১৯১ পাতায় এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যাতে সম্ভবত বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাননি নেতাজি। জীবিত অবস্থায় অন্যত্র চলে যান।
এই বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে ইউপিএ-২ এবং মোদি সরকারের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছে তৃণমূল। সুখেন্দুশেখরের বক্তব্য, অদ্ভুত এক যোগসাজশ লক্ষ করা গিয়েছে দুই সরকারের মধ্যে। কংগ্রেস বা বিজেপি কোনও সরকারই এই বইটি সামনে আনছে না। এত গোপনীয়তা কেন, সেটাই প্রশ্ন।
এদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ প্রতিদিনই বাড়াচ্ছে তৃণমূল। দলের মিটিং মিছিল সভা সমাবেশ থেকে বিজেপিকে নিশানা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ১৫ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত জনসংযোগের ক্ষেত্রে কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফে। তাতে মানুষের ঘরে গিয়ে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সংযোগ গড়ে তুলতে এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ কর্মীদের দিয়েছে তৃণমূল।