পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিলে ‘ঢিল’ ছোঁড়া হয় বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। তারপরই দেখা গিয়েছে, টালিগঞ্জ-রাসবিহারী এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু বিজেপি পরিকল্পনা করে অশান্তি বাধিয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। এই ঘটনায় মহিলা সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। খবর পেয়ে তাঁদের দেখতে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বিজেপির বিরদ্ধে ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল নেতৃত্ব। দুপুর আড়াইটা নাগাদ টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপোর সামনে থেকে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় হাজরায়। ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, মালা রায়, দেবাশিস কুমার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তরা। দক্ষিণ কলকাতার এই মিছিলে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পা মেলান এলাকার সাধারণ মানুষ। জন সমাগমের নিরিখে মিছিলের ব্যাপ্তি ও পরিধিতে খুশি তৃণমূল নেতৃত্ব।
মিছিলের শেষে হাজরায় সভা করে তৃণমূল। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন নেতৃত্ব। অরূপ বিশ্বাস বলেন, শান্তির বাংলায় বিজেপি অশান্তি, বিশৃঙ্খলা, হিংসার রাজনীতি করছে। আমরা উন্নয়নের মাধ্যমেই এর জবাব দেব। রাজনৈতিক ময়দানে বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া হবে না, বলেন অরূপবাবু। সোমবার রাতে আলোচনা করে মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, অনুমান ছিল ২০ হাজার মানুষ মিছিলে পা মেলাবেন, কিন্তু তা ৫০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে! আর এই প্রতিবাদ মিছিল অল্প সময়ের মধ্যে সংগঠিত করেন তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রতিনিধিরা। আর সেখানেই বিজেপি নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে অরূপবাবু বলেছেন, মা থেকে ছেলে কখনও বড় হয় না। জনসমাগমের নিরিখে টালিগঞ্জ-রাসবিহারী এলাকার কাউন্সিলরদের কাছে ২০ গোল খেয়েছে বিজেপি। তাই
ওদের নেতাদের বলব, আগে আমাদের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে লড়াই করুন। এই মঞ্চে মন্ত্রী শোভনদবে চট্টোপাধ্যায় বলেন, যারা অশান্তি বাধায়, তাদের পাশে মানুষ থাকে না। আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।