কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তিনি আসার আগেই আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় কলকাতায় আসবেন পশ্চিমবঙ্গের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সন্ধ্যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বে দশজনের একটি টিম রাজ্যে আসবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ১০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রত্যেক দলকে ১০ মিনিট বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্য শুনেই আয়কর, ইডি, কাস্টমস, আবগারি, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, ডিআরআই প্রভৃতি রেগুলেটরি এজেন্সির কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। লাঞ্চের পর বিকাল সাডে ৩টে থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সব জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
প্রত্যেক জেলাশাসক তাঁর জেলার প্রস্তুতি এবং আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। সেখানেই কোনও ত্রুটি আছে কি না তা দেখবেন কমিশনের কর্তারা। সেই সঙ্গে একেবারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করার জন্য কী কী করা দরকার তাও জানিয়ে দেবেন তাঁরা। তবে আগামী ভোট যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে তা জানতে চেয়েছিল কমিশন। রাজ্য পুলিসের নোডাল অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর ২০১৬ সালকে ভিত্তি করেই একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। তবে যেহেতু ২২ হাজারের মতো বুথ বাড়ছে, তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করছেন কমিশনের কর্তারা।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ ফুল বেঞ্চের সফর নিয়ে প্রস্তুতি চূড়ান্ত। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিসের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং, বিএসএফ এবং সিআরপিএফের আইজি যথাক্রমে এ কে সিং এবং পি কে সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ভোটের ব্যাপারে যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর পুরোদমে প্রস্তুত তা বৈঠকে তুলে ধরতে চায়। সেই সঙ্গে কমিশনে দু’জন অফিসার নিয়োগ করা হল। একজন হলেন নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের প্রধান সংঘমিত্রা ঘোষ এবং অন্যজন হলেন অর্থদপ্তরের সচিব স্মারকি মহাপাত্র। তাঁরা আজ কমিশনের রাজ্যের দপ্তরে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে কাজে যোগ দেবেন।
শুক্রবার সকালে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি, অর্থসচিব মনোজ পন্থ সহ কয়েকজন সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করবেন। করোনা পরিস্থিতিতে কী করে ভোটগ্রহণ হবে এবং রাজ্য সরকারের কী ধরনের সহযোগিতা দরকার, আলোচনায় তা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সন্ধ্যাতেই ফিরে যাবেন কমিশনের কর্তারা।