পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাস্থ্যবিমা থাকতেও নার্সিংহোমে অসুস্থ অবস্থায় খরচ হওয়া অর্থের অর্ধেকও মেলেনি। বিমা কোম্পানি যেসব নথি চাইছে, তার সবগুলি দিতে না পারায়, টাকা মেলেনি। কিংবা যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর স্বাস্থ্যবিমা থাকলেও, পরিবার তা জানেই না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এমন দাবিহীন অর্থের পরিমাণ ২১,০৭০.১২ কোটি টাকা। এমনই অজস্র অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়। যেসব অভিযোগের সমাধান করার জন্য সরকারি পথনির্দেশিকাও আছে। কিন্তু, বাস্তবে বহু মানুষই হয় তা জানেন না, অথবা কীভাবে তা কার্যকর করা যায়, তা বুঝে উঠতে পারেন না। মামলাকারী নিজেও তেমন সমস্যায় পড়ে বিষয়টি সম্পর্কে বহু খোঁজখবর করার পর আদালতের দ্বারস্থ হন। কারণ, তিনি মনে করেন, তাঁর বক্তব্যে সাড়া মিলছে না। তাই একমাত্র আদালতই পারে, পরিস্থিতির বদল ঘটাতে।
স্বাস্থ্যবিমা থাকলেও অনেক সময়ই সেই অর্থ না দেওয়া বা কম দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, তিনি আগে থেকেই রোগগ্রস্ত ছিলেন। মামলাকারীর বক্তব্য, এমন বিমার চুক্তি করার আগে সেই নাগরিকের মেডিক্যাল চেক-আপ করতে বলা হয়। কিন্তু, বাস্তবে তা হয় না। আসলে বিমা সংস্থাগুলি তাদের ব্যবসার ব্যাপারে যতটা আগ্রহী, একইরকমভাবে নাগরিকের চাহিদা বা দাবি মেটাতে নয়।
মামলাকারীর আইনজীবী অমিতাভ ঘোষ ও সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতকে জানান, স্বাস্থ্যবিমার অর্থ পেতে বিতর্ক দেখা দিলে তা মেটানোর দায়িত্ব ওম্বুডসম্যান অফিসের। কিন্তু, সারা দেশে এর সংখ্যাটি মাত্রই ১৭। সেখানে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। ই-মেল করলেও অভিযোগের নথি পাঠানো বাধ্যতামূলক। আবার এই ওম্বুডসম্যানদের অনেকেই বিমা সংস্থাগুলির প্রাক্তন সদস্য। এই প্রেক্ষাপটে সিংহভাগ অভিযোগই খারিজ হয়ে থাকে। আবার বিমা সংস্থার চাহিদা মতো সব নথি জমা করার পর এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা। দেরি হলে শেষ নথি জমা হওয়ার দিন থেকে টাকা মেটানোর দিন পর্যন্ত ২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়। কিন্তু, এমন বহু জিনিসই বিমাকারী বা তাঁর নিকটজন জানেন না। তাই এই ব্যাপারে অনেক বেশি স্বচ্ছতা আনা দরকার।
যে কারণে আইআরডিএ-কে এই বিষয়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে আদালত। তার আগে মামলাকারী ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাতদিনের মধ্যে মামলাকারীকে জানাতে হবে।