কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় সিরামের ‘কোভিশিল্ড’ এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’-কে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শুরুতেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনায় টিকাকরণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকদের উৎকণ্ঠা কাটাতে প্রচার শুরু করেছে কেন্দ্র। বলা হচ্ছে, দু’টি ভ্যাকসিনই নিরাপদ এবং কার্যকরী। অযথা ভয়ের কিছু নেই।
আইসিএমআরের বিজ্ঞানী তথা মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা এদিন জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর সাধারণ ব্যথা, জ্বর, বমি ভাব হলেও চিন্তার কিছু নেই। এটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। যতক্ষণ না অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে বা হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, ততক্ষণ সমস্যা নেই। তাঁর কথায়, ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর নেই। তাই অযথা নেতিবাচক খবর বড় করে দেখানো ঠিক নয়। তাছাড়া যে কোনও ব্যক্তিকেই বেছে নিতে হবে, টিকা থাকা সত্ত্বেও সংক্রমণের ঝুঁকি নেব, নাকি ভয় পাব।’
ডাঃ পাণ্ডা এও জানিয়েছেন, ‘ভ্যাকসিন নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক নয়। এমনকী প্রথম ডোজের পর কেউ চাইলে দ্বিতীয় তথা শেষ ডোজটি নাও নিতে পারেন। তবে কোর্স সম্পূর্ণ করা উচিত। তাতে প্রথম ডোজের পর যে করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, দ্বিতীয়টি তার বুস্টার (শক্তিবর্ধক) হিসেবে কাজ করে।’ তবে ভ্যাকসিন নিয়ে কারও কোনওরকম অ্যালার্জি হলে তাঁকে আর পরের ডোজ নয়, স্পষ্ট মত ডাঃ পাণ্ডার। সেই মতো স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসচিব ডাঃ মনোহর আগনানি রাজ্যগুলিকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েও দিয়েছেন। আরও বলেছেন, ইমার্জেন্সি ইউজের জন্য ছাড়পত্রে ১৮ বছরের কম বয়সি কাউকে যেন ভ্যাকসিন না দেওয়া হয়।