গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সমস্যায় পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারাও। তাঁদের অভিযোগ, নিজেদের অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে বিপর্যয় হওয়া সত্ত্বেও বারবার কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ পাঠাচ্ছে, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করেই টিকাকরণ করাতে। কিন্তু সেই কাজ করা যাচ্ছে না। সে কারণে আজ ২০৭টি ভ্যাকসিন গ্রহণ কেন্দ্রের আনুমানিক ২০ হাজার ৭০০ জন সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপকদের ৮৫-৯০ শতাংশই এসএমএস পাননি। তাঁদের ফোন করে টিকাকরণ কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য চরম অসন্তুষ্ট স্বাস্থ্যভবন। সরকারি হিসেবে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের দুই ডোজে কোভিশিল্ড দেওয়ার পর্ব সম্পূর্ণ করতে আরও প্রায় সাত লক্ষ ডোজ প্রয়োজন। তা এখনও পাঠায়নি কেন্দ্র। সেই নিয়ে দুশ্চিন্তার পাশাপাশি কো-উইন সার্ভার বিপর্যয়ও অব্যাহত। ফলে কেন্দ্রের উপর ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকাল সাড়ে ন’টা-১০টার মধ্যেই ২০৭টি ভ্যাকসিন গ্রহণ কেন্দ্রেই টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। প্রতিটি কেন্দ্রে শনিবারের মতোই ১০০ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসককে টিকা দেওয়া হবে। এই সপ্তাহের শুক্রবার অথবা আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে। এদিকে, টিকাকরণের পর অসুস্থ হয়ে পড়া বি সি রায় শিশু হাসপাতালের নার্স পিঙ্কি শূরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। শনিবার টিকা নেওয়ার পর তাঁর শরীরে কাঁপুনি আসে। ভর্তি করা হয় এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। ঘটনাটি রাজ্যে টিকাকরণের পর ১৪টি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনার মধ্যে একমাত্র গুরুতর ঘটনা বলেই দেখছে দপ্তর। জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি ওই নার্সের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা কম ছিল। সেইমতো ওষুধপত্র, স্যালাইন চলছে। ঘটনার তদন্তও করে দেখছে স্বাস্থ্যভবনের অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোয়িং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি।
অ্যাপ বিপর্যয় প্রসঙ্গে রবিবার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। বেশিরভাগ সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপক এসএমএস পাননি। সারাদিন জনে জনে ফোন করে সোমবারের জন্য আসতে বলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও অফিসারদের আর কোনও কাজ নেই নাকি?’
এদিকে, শনিবার প্রথম দিনের টিকাকরণে পূর্ব বর্ধমান, ঝড়গ্রাম সহ চারটি জেলায় ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীই টিকা নিয়েছেন। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ পাঁচ জেলায় টিকা নিয়েছেন ৯০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। অন্যদিকে, ৭০ শতাংশ এবং তার কিছু বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক টিকা নিয়েছেন বাংলার ১৭টি জেলায়।