কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অনলাইনে আপস বদলি শুরু হওয়ার পর নতুন একটি সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আবেদনের যাবতীয় ধাপ পেরিয়ে যখন অর্ডার চলে আসছে, তখন নতুন স্কুলে যেতে বেঁকে বসছেন এক শিক্ষক বা শিক্ষিকা। যার ফলে অপর পক্ষেরও বদলি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপস বদলির ক্ষেত্রে দুই শিক্ষক বা শিক্ষিকা নিজেদের মধ্যে স্কুল অদল-বদল করেন। তাই একজন নাকচ করে দিলে, অন্যজনেরটা আটকে যায়। তবে, ইচ্ছুকদের আপস বদলির প্রোফাইলও লক হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে তিনি অন্য স্কুলে আবেদন করতে পারছেন না। আলিপুরদুয়ারের এক ইংরেজির শিক্ষিকা বর্ধমানে আসার জন্য আপস বদলির আবেদন করেন পোর্টালে। একাধিক সাড়া পান। বর্ধমানে একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা নিজেই তাগিদ নিয়ে একাধিকবার আলিপুরদুয়ারের স্কুল দেখে এসে রাজি হন বদলি নিতে। সেই অনুযায়ী অর্ডারও বেরিয়ে যায়। এখন তিনি বেঁকে বসেছেন। আলিপুরদুয়ারের সেই শিক্ষিকার ফোনও ধরছেন না। পরে তিনি জানতে পেরেছেন, নিজের স্কুলে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, হঠাৎ বর্ধমানে বিয়ে ঠিক হয়েছে তাঁর। তাই তিনি আর আলিপুরদুয়ারে ফিরতে চান না। তবে, দিন পনেরোর মধ্যে এরকম একটি কারণ খাড়া করায়, সেটা খুব একটা সত্যি বলে মনে করছেন না ওই শিক্ষিকা। একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, ডানকুনির একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা। রায়দিঘির একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকার সঙ্গে আপস বদলির জন্য এগিয়ে অর্ডার বেরনোর পরেও পিছিয়ে এসেছেন তিনি। পিছিয়ে আসার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণও ব্যাখ্যা করেননি। শিক্ষিকারা রিলিজের আবেদন না করায় স্কুলও তাঁদের রিলিজ লেটার দিতে পারছে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক স্বীকার করেছেন, এমন প্রায় সাত-আটটি ঘটনা তাঁদের কাছে রোজই আসছে।
এদিকে, বীরভূমে এক কিমির মধ্যে অন্য একটি স্কুলে বিশেষ বদলি পেয়েছেন এক শিক্ষিকা। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য বেশ কিছু জেলাতেও। নিয়ম অনুযায়ী, দূরত্ব অন্তত ২৫ কিমি হওয়া উচিত। গার্লস স্কুলে পুরুষ শিক্ষক পাঠানো নিয়ে কিছুদিন আগে হইচই হয়। পর্ষদের শেষতম প্রকাশিত ৮৮ জনের বদলি তালিকায় এরকম আরও একাধিক ঘটনা রয়েছে। আবার এমন অনেক শিক্ষকের নাম সেই বদলি তালিকায় রয়েছে, যাঁরা আবেদনই করেননি বলে দাবি করছেন। এদিকে, বিশেষ বদলির আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন প্রায় রোজই আবেদনকারীর লাইন বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে বহু দূর পর্যন্ত চলে যাচ্ছে।