কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এখন রাজ্য জুড়ে একটাই হাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খোলা হোক। সিনেমা হল থেকে পানশালা খুলতে পারলে অন্তত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করা যাবে না কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। আর সেই পালস বুঝেই ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে এই দাবি জানাচ্ছে এসএফআই। ফলে তাঁদের কর্মকাণ্ড অন্তত প্রচার পাচ্ছে। এসএফআইয়ের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য সাংগঠনিক কাজে উত্তরবঙ্গে থাকায় তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের নেতা দেবনীল পাল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি সরকারের কাছে না পৌঁছে দিলে ,আমরা আরও আগ্রাসী আন্দোলনে নামব।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য অবশ্য দাবি করছেন, অ্যাকাডেমিক ইস্যুতে তাঁরাও পথে নেমেছেন। অন্তত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি তাঁরাও সমর্থন করেন। এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও জানানো হয়েছে। তিনি উপাচার্যদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে, করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন আসায় আপাতত কিছুটা সতর্কতা নিতেই হবে। এর মধ্যেও পরীক্ষাগ্রহণ ও অন্যান্য বিষয়গুলি সময়মতো শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আনলকের সময় ছাত্রছাত্রীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিজেপির অবমাননা নিয়েও কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে ২৫টি সাংগঠনিক জেলার মঝ্যে ২৩টি জেলায় টাউন এবং ব্লক সভাপতি নতুন করে মনোনীত করা হয়েছে। ১৩টি নতুন কলেজে ইউনিট খুলেছে টিএমসিপি। তিনি মনে করিয়ে দেন, যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সিতেও তাঁর সময়েই সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে টিএমসিপি। নতুন ছাত্রছাত্রীদের তুলে আনা হচ্ছে। যাদবপুরের ইউনিট সভাপতি চিরঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, এখন মানুষের বাঁচার লড়াই। আন্দোলনে সামিল হয়ে ৬৭ জন কৃষক মারা গেলেন, বিজেপির কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। বেঁচে থাকলে তবেই না শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইস্যুতে আলাদা করে নামা হবে। সময়ের দাবি মেনেই সভাপতি আন্দোলনের রূপরেখা এবং কৌশল তৈরি করছেন। তবে, সরকার এবং দলের সব অনুষ্ঠানেই টিএমসিপির সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব থাকছে।
এসএফআইকে অবশ্য পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপির অনুগামী ছাত্র সংগঠন এবিভিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকার। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষা নীতি যে যথেষ্ট ইতিবাচক, এটা তারাও বোঝে। তাঁদের পাশে ছাত্ররা কোথায়? আমরা সবক’টি জেলাশাসকের অফিসে জাতীয় শিক্ষানীতি দ্রুত কার্যকর করা, কর্মসংস্থান এবং নারীসুরক্ষার দাবি এবং মুসলিম তোষণের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিয়েছি। ২২ ফেব্রুয়ারি এই ইস্যুগুলি নিয়েই নবান্ন এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরকন্যা অভিযান করব আমরা। ৯ জানুয়ারি রামমোহন লাইব্রেরিতে জাতীয় শিক্ষা নীতির ইতিবাচক দিকগুলি নিয়ে সেমিনারও করেছি। অন্যান্য জায়গাতেও সেমিনার হয়েছে।
ভোটের আগে প্রচারে আসতে কর্মসংস্থান নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বড়সড় কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদ। রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ বলেন, কৌশলগত কারণে সেই কর্মসূচি আমরা এখনই ঘোষণা করছি না। তবে তাতে আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও উপস্থিত থাকছে।