পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিজেপির এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কিছুই মানে না। তাই নবান্নকে টপকে কার্যত অবৈধভাবে কৃষকদের থেকে তথ্য জোগাড়ে নেমেছে গেরুয়া পার্টি। আশিসবাবুর দাবি, বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রের এই ভাঁওতাবাজিতে ঠকতে রাজি নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃষকদের আস্থা অটুট রয়েছে।
এদিকে, গত ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচির সাফল্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বর্ধমানের সভা থেকে এই অভিযানের সূচনা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সব কৃষকের বাড়িতে যাবেন দলের কর্মী-নেতারা। কিন্তু গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান বলছে, দিল্লির নেতাদের বেঁধে দেওয়া ছক অনুযায়ী পথ চলতে গিয়ে হোঁটচ খেতে হচ্ছে বাংলার কার্যকর্তাদের। বিকল্প না পেয়ে অবশেষে ‘কৃষক সুরক্ষা অভিযান’ কর্মসূচি ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে মাত্র আট লক্ষ কৃষকের বাড়িতে পৌঁছতে পেরেছে বিজেপি। যদিও সরকারিভাবে বাংলায় ৭৩ লক্ষ কৃষক পরিবার রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, অবশিষ্ট এই বিরাট সংখ্যক কৃষকের বাড়িতে বিজেপি আদৌ ঢুকতে পারবে কি?
এই আশঙ্কাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কিষান মোর্চার সহ সভানেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁর কথায়, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উত্তরবঙ্গের ১০ লক্ষ কৃষকের বাড়িতে যাবে বিজেপি। প্রসঙ্গত, রবিবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে এই প্রকল্প আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেই সবচেয়ে ভালোভাবে রূপায়িত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশেষ পরিকল্পনার কথা ব্যাখ্যা করে শ্রীরূপাদেবী বলেন, প্রতি বুথে চার থেকে পাঁচটি গ্রাম কিংবা পাড়া রয়েছে। আমরা প্রত্যেক গ্রামে দু’জন করে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী নিয়োগ করেছি। এই অভিযানে কৃষকরা ব্যাপকভাবে সাড়া দিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা, শস্যবিমা যোজনা, সয়েল কার্ড সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বাংলার কৃষকদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে বিজেপি ওই সমস্ত প্রকল্প চালু করবে বলেও জানান শ্রীরূপাদেবী।