বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপি সরকারের তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বিজেপি বিরোধী সব কৃষক সংগঠনের আন্দোলনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কংগ্রেসও দেশজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছে। এদিনও সারা দেশে প্রদেশ কংগ্রেসগুলিকে এই ইস্যুতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও রাজভবন অভিযানের মতো কর্মসূচি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকমান্ড। সেই নির্দেশ মেনে এদিন দুপুরের পর কলেজ স্ট্রিট থেকে হাজার কয়েক সমর্থককে নিয়ে মিছিল বের করে প্রদেশ কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, বিধায়ক অসিত মিত্র প্রমুখ। নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, মিশন রো, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মিছিল ধর্মতলার কে সি দাস মোড়ের কাছে আসার পরই শুরু হয় উত্তেজনা পর্ব। অধীরবাবুর নেতৃত্বে কংগ্রেস সমর্থকরা সিধু কানহো ডহর দিকে ঢুকে পড়েন। পুলিসের হাল্কা ব্যারিকেড ভেঙে ট্রাম লাইন ধরে তারা কার্জন পার্কের মধ্যে দিয়ে চলে আসে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের মোড়ে। গুটি কয়েক পুলিস বারবার চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে ব্যর্থ হয়। বেশ কিছু কংগ্রেস সমর্থক তারই মধ্যে রাজভবনের পূর্ব প্রান্তের বন্ধ থাকা গেটের উপর উঠে পড়ে। ততক্ষণে আরও কিছু পুলিস এসে তাদের অনুরোধ করে সরিয়ে নিয়ে যায় সিধু কানহো ডহরের দিকে। এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট তল্লাট জুড়ে যানবাহন চলাচল বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে অধীর-মান্নানরা রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দেন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে।
এদিকে, বিদ্যুতের মাশুল কমানো এবং লকডাউন পর্বে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী নিম্নবিত্ত মানুষের বিল মকুবের দাবিতে এদিন মহাজাতি সদন থেকে মিছিল করে সিপিএমের কয়েকশো সমর্থক আসে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। সেখানে তাদের সভা চলে। সভায় মহম্মদ সেলিম, কল্লোল মজুমদারের মতো দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা ভাষণও দেন। সভার শেষ লগ্নে কিছু সমর্থক ব্যারিকেড সরিয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের মূল ফটকের দিকে এগিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এই সময় পুলিসের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কিছুটা আচমকাই শুরু হয় লাঠিচার্জ। ততক্ষণে বাকি সমর্থকরা রে রে করে তেড়ে এলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। তবে তুমুল উত্তেজনার মধ্যে মাইকে ঘোষণা করে নেতৃত্ব ক্যাডারদের নিরস্ত করায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।