বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবারের মতো এদিন সকালে স্নান করতে যাওয়ার ব্যস্ততা দেখা যায়নি সমুদ্র সৈকতের রাস্তায়। ছিল না সেই চেনা কোলাহল। বরং পুণ্যার্থীদের বাড়ি ফেরার তাগিদ ছিল বেশি। তীর্থযাত্রীদের দেখা গেল তল্পিতল্পা গুটিয়ে হাঁটা শুরু করেছেন। কেউ আবার যাওয়ার আগে সাগরের পাড়ে এসে সমুদ্রকে একবার প্রণাম করে ফিরে গেলেন সঙ্গীদের কাছে। তবে, একটা জায়গায় তীর্থযাত্রীদের মধ্যে মিল দেখা গেল। প্রায় সকলেই বাড়ি ফেরার আগে বোতল, জ্যারিকেন, পাত্রে নিয়ে গেলেন গঙ্গার পবিত্র জল।
এদিন সকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতে নেমে পড়েন পরিবেশ কর্মীরা। আবর্জনা সাফ করাই তাঁদের কাজ। এরমধ্যেই কয়েকজন তাঁদের পাশ কাটিয়ে নেমে গেলেন জলে। যাঁরা এদিন রয়ে গেলেন, তাঁরা বিকেল হতে না হতেই ভিড় জমালেন মন্দির চত্বরে। তীর্থযাত্রীরা কেউ কেউ থেকে যাওয়ায় গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে যাঁরা স্টল দিয়েছিলেন, তাঁরা এদিনও পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন।
এবার যে প্রতিকূলতার মধ্যে মেলার আয়োজন করতে হয়েছে, তাতে চিন্তা, উদ্বেগ, সংশয়— সবই ছিল। নির্বিঘ্নে মেলা শেষ হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে কুর্নিশ জানতে ভোলেননি পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মেলা হবে, সেটা কেউই ভাবতে পারেননি। সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে, এটাই বড় প্রাপ্তি। তবে কোভিডের কারণে এবছর গঙ্গাসাগরের খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। সুব্রতবাবু বলেন, এবার ২০০ কোটির মতো খরচ হয়েছে। পুরোটাই সরকার তার তহবিল থেকে দিয়েছে। এবারের মেলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। সেই সাফল্যকে তুলে ধরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, ৩১টি দেশের মানুষ মেলা ও মন্দিরের পুজো দর্শন করতে পেরেছেন। এদিন মেলার সাফল্যকে উদযাপন করতে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা প্রশাসনের সব আধিকারিক অংশগ্রহণ করেন। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, সবার সহযোগিতায় এই মেলা সফল হয়েছে।