শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
এদিনের নির্দেশ অনুযায়ী, নয়া প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের তথ্য বা নথি ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে ৪ জানুয়ারি থেকে। যা ৫ এপ্রিলের মধ্যে তা শেষ করতে হবে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আপার প্রাইমারি সিলেকশন রুল অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কয়েকটি ধাপ রয়েছে। নথি যাচাই সেই প্রক্রিয়ারই প্রথম ধাপ। ১০ মে থেকে পরের ধাপে হবে উপযুক্ত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ। এই প্রক্রিয়া চলবে আট সপ্তাহ। তারপর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে মেধাতালিকা প্রকাশ করে কমিশনকে যেতে হবে পরের ধাপে। অর্থাৎ, সেই তালিকা থেকেই তৈরি প্যানেল। সেইসঙ্গে ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের নামের তালিকাও তৈরি করতে হবে। হাইকোর্ট এই প্যানেল তৈরি হওয়ার আগে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় কমিশন কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরুই করতে পারেনি। শরীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা বাদে আপার প্রাইমারির সব বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করতে ২০১৬ সালে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যা নিয়ে শুরুতে কয়েকটি মামলা হলেও পরে কয়েক হাজার মামলা দায়ের হয়েছিল। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুবীর সান্যাল মামলাগুলিতে সওয়াল করেছেন। অভিযোগ ছিল, এক, কম নম্বর প্রাপ্ত বা দুর্বল শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্নদের পার্সোনালিটি টেস্টে ডাকা হয়েছে। এমনকী প্রশিক্ষণহীনদেরও ডাকা হয়েছে। দুই, টেট-এ প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের হিসেব করার সময় প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। তিন, শিক্ষাগত যোগ্যতা সূত্রে যে নম্বর পাওয়া উচিত, তা মামলাকারীদের দেওয়া হয়নি। চার, শূন্যপদের সংখ্যা কমিশন প্রকাশ করেনি। পাঁচ, কমিশনের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এমন অভিযোগের জেরে আদালত কয়েকবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়ার পর কমিশন কিছু কিছু প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু, মামলাকারীদের তরফে তা গ্রহণ করা হয়নি। তাঁরা দাবি করেন, ওইসব প্রস্তাব মানা হলে আদতে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণকে পরোক্ষে উৎসাহ দেওয়া হবে।
পরবর্তীকালে কমিশন আদালতকে এও জানিয়েছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম অনুযায়ী ৪৪ হাজার ১৯৪ জনের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। প্রশিক্ষণহীনদের ইন্টারভিউ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, পরবর্তীকালে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আদালতে অভিযোগ আসতে থাকে। যে কারণে আদালত কমিশনকে মেধাতালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। কিন্তু, সেই তালিকা নিয়েও অভিযোগ ওঠায় আদালত কমিশনকে পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের এই রায় প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, কোর্টের নির্দেশ হাতে পাইনি। রায়ের কপি দেখার পরই এনিয়ে বলতে পারব। বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেন, এরাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি অতীতের সব রেকর্ডকে অতিক্রম করেছে। যে চাকরিপ্রার্থীদের এতগুলি বছরগুলি নষ্ট হল, সেগুলি কে ফিরিয়ে দেবে?