কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সংবাদমাধ্যমে সাম্প্রতিককালে একের পর এক পাখি পাচার হওয়ার খবর দেখার পরই বেঞ্চ বিষয়টি বিচার করার উদ্যোগ নেয়। বেঞ্চ মনে করে, খবরগুলি আসলে হিমশৈলের চূড়ামাত্র। প্রাণীজগতের প্রতি নিষ্ঠুর, অনৈতিক এবং এমন বেআইনি কার্যকলাপ যারা চালাচ্ছে, তারা আইন ও সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে। এর জেরে পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে মামলাটির বিষয়বস্তু পেশ করতে গিয়ে আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় বেঞ্চকে জানান, দেশের সংবিধান প্রাণীজগতের স্বার্থে পদক্ষেপ করার পর্যাপ্ত সুযোগ রেখেছে। পরিবেশ তথা অরণ্য এবং তার প্রাণীকূলকে রক্ষা করার জন্য এছাড়াও রয়েছে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ১৯৭২। প্রাণীজগতকে কীভাবে রক্ষা করা যাবে, তার পর্যাপ্ত আইনি রক্ষাকবচ রয়েছে। তাঁর সেই বিস্তারিত বক্তব্য বিবেচনা করে বেঞ্চ তার অন্তর্বর্তী রায়ে বলেছে, যারা এমন অন্যায় ও বেআইনি কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ও জোরালো পদক্ষেপ করতেই হবে।
বেঞ্চ রায়ে বলেছে, পরিযায়ী পাখিদের জন্য নেই কোনও সীমার বন্ধন। পরিবেশ ও আবহাওয়া বদলের সঙ্গে ও খাদ্যের সন্ধানে তারা দেশ থেকে দেশান্তরে পাড়ি দেয়। বিশ্বের এটাই নিয়ম। কিন্তু, তাদের সেই স্বাভাবিক রীতি যখন বিপন্ন হয়, তখন বিষয়টি জনস্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে পড়ে। তাই রাজ্যের কোথাও যাতে বেআইনি পাখি ও অন্য বিপন্ন প্রাণী পাচার বা তাদের নিয়ে ব্যবসা না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকারি আধিকারিকদের যেখানে যেমন প্রয়োজন, সেইমতো পদক্ষেপ করতেই হবে। যারা দেশের আইন ভেঙে এমন বেআইনি কারবারে যুক্ত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থা নিতেই হবে।