বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যে ডিমের মূল চাহিদা মেটায় দক্ষিণ ভারত। এই নির্ভরতা কমাতে উদ্যোগী হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরই উৎসাহে নদীয়ায় চালু হয় অত্যাধুনিক পোল্ট্রি ফার্ম। সেখান থেকেই দিনে প্রায় ৯৫ হাজার ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। এই ডিমের দর সাড়ে চার টাকা বেঁধে দিয়েছে হরিণঘাটা মিট। ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভস্টক ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘আমরা এখন ৩৩৫টি আউটলেট থেকে এই ডিম বিক্রি করছি। কিন্তু চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। আমরা জোগান দিতে পারছি না। যে হেতু খোলাবাজারে ডিমের দর এখন সাড়ে পাঁচ টাকা থেকে ছ’টাকা, তাই নানা জায়গা থেকে কালোবাজারির খবর আসছে। অর্থাৎ অনেকেই হরিণঘাটা মিটের ডিম কিনে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে।’ সে দিকেও কড়া নজর রাখছে কর্পোরেশন। কালোবাজারি রুখতে অভিনব পন্থাও আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৌরীশঙ্করবাবু। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিমের গায়ে ‘হরিণঘাটা মিট’ নামটি ছেপে বা প্রিন্ট করে দেওয়া হবে। সঙ্গে ডিম উৎপাদনের তারিখটিও দেওয়া থাকবে। অর্থাৎ ক্রেতারা বুঝতে পারবেন, তাঁরা কতটা টাটকা বা বাসি ডিম খাচ্ছেন। দক্ষিণ ভারত থেকে আসা ডিমের চেয়ে এগুলি অনেক বেশি টাটকা হবে। সংস্থার কর্তাদের দাবি, যেহেতু পোল্ট্রি ফার্ম থেকে সরাসরি হরিণঘাটা মিট -এর আউটলেটগুলিতে এই ডিম সরবরাহ করা হচ্ছে, তাই তা টাটকা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
দফতরের কর্তারা বলছেন, খোলাবাজারের ডিমে অ্যান্টিবায়োটিক মিশে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। খাদ্যের মাধ্যমেও এই অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে পৌঁছে যেতে পারে। আসলে মুরগির শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ করলে তা ডিমে থেকে যাওয়াই স্বাভাবিক। তবে সরকারি পোল্ট্রি ফার্মটিতে যেভাবে মুরগি লালন পালন করা হয় এবং যে খাদ্য দেওয়া হয়, তাতে অ্যান্টিবায়োটিক থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁদের বক্তব্য, মানুষ ডিম খান তার পুষ্টিগুণের জন্য। অথচ তাতেই যদি অ্যান্টিবায়োটিক মিশে থাকে, তাহলে আর লাভ কী? তাই সরকার অ্যান্টিবায়োটিকহীন ডিমের প্রচার বাড়াচ্ছে। আর সঙ্গে থাকছে হলুদ কুসুমের হাতছানি। ডিমের এই দুই গুণেই এখন মজেছেন ক্রেতারা। চাহিদাও বাড়ছে হু হু করে।