কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা জুন মাসে আয়োজন করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা যাতে পড়াশুনো চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য প্রত্যেককে একটি করে ট্যাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন অনেকের কাছে স্মার্টফোন না থাকায় পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে। ট্যাবের মাধ্যমে বারো ক্লাসের ছেলেমেয়েরা অন্তত পড়াটা ফলো করতে পারবে। রাজ্যের ১৪ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং ৬৩৬টি মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার জন্য টেন্ডার ডাকা হবে। একই পদ্ধতিতে কম্পিউটারও কিনবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি পড়ুয়া, অভিভাবক এবং শিক্ষক মহল। দেশ তথা রাজ্যে প্রয়োজনের তুলনায় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা ট্যাবের সংখ্যা অনেকটাই কম। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। তা ছাড়া এসব বৈদ্যুতিন গ্যাজেট কেনার মতো আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতেও পারছিল না বহু ছাত্রছাত্রী। ফলে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পড়ুয়াদের থেকে তারা পিছিয়ে পড়ছিল। যা একেবারেই অনভিপ্রেত। করোনার জেরে কবে থেকে স্কুল খোলা সম্ভব হবে, তা এখনই বলতে পারছে না রাজ্য সরকার। তাই মাঝামাঝি একটা বন্দোবস্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ছিল। তার জেরেই এদিনের সিদ্ধান্ত। সরকারের আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী যে এই সমাধানের কথা ভেবেছেন, এর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি প্রাক্তনী ও অধ্যাপকদের আর্থিক সহায়তায় কয়েকশো দুঃস্থ পড়ুয়াকে স্মার্টফোন দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। দিল্লিতে ১৫ হাজার এবং উত্তরপ্রদেশে দেড় লক্ষের কিছু বেশি ছাত্রছাত্রীর হাতে ট্যাব তুলে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সাড়ে ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে তা তুলে দেওয়ার মতো বিরাট প্রকল্প আর কোনও রাজ্য সরকার নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘স্মার্টফোন বা ট্যাবের অভাবে পড়ুয়াদের কেমন সমস্যা হচ্ছিল, সেই অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী যে পদক্ষেপ নিলেন, তাতে তাঁর জনদরদী মুখ ফের সামনে এল।’