পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
বামফ্রন্ট জমানায় একজন কর্মী নিজের কর্মজীবনে মাত্র একবার সরকারি খরচে ভ্রমণের সুযোগ পেতেন। অধিকাংশ সরকারি কর্মী অবসরের কয়েক মাস আগে পরিবার নিয়ে কন্যাকুমারী ঘুরতে যেতেন। কেননা, বাম শাসনে ওই একবারই ট্রেনের ভাড়া দিত সরকার। দক্ষিণের এই ধর্মীয় স্থানের দূরত্ব ও ভাড়ার কথা মাথায় রেখে সেই সময় রিটায়ার করার আগে অধিকাংশ সরকারি কর্মীর গন্তব্য ছিল কন্যাকুমারী। পরিবর্তনের জমানায় সরকারি কর্মীদের ভ্রমণের সুযোগ দিতে বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সরকারি কর্মীরা কেবল দেশ নয়, বিদেশেও যেতে পারেন। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ বছরের মধ্যে একবার দেশ কিংবা বিদেশে (সার্কভুক্ত দেশ) একবার এবং রাজ্যের যেকোনও প্রান্তে দু’বার ঘোরার সু্যোগ পান সরকারি কর্মীরা। অর্থ দপ্তর সূত্রের দাবি, গ্রুপ-ডি থেকে অফিসার পদমর্যাদার অসংখ্য কর্মী ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর )-সহ অনেক দেশে ভ্রমণ সেরে ফিরেছেন। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে করোনার জন্য আতান্তরে পড়েছেন কয়েক হাজার সরকারি কর্মী।
অর্থ দপ্তরের এক শীর্ষ আমলা বলেন, ‘এই ইস্যুতে কর্মীদের তরফে স্মারকলিপি পেয়েছি।’ কিন্তু যাঁরা এই করোনা পর্বে অবসর নিয়েছেন তাঁরা প্রকৃত অর্থে ভ্রমণের সুযোগ হারালেন বলেও স্বীকার করেছেন ওই কর্তা। কিন্তু অবসরপ্রাপ্তরা কী নিজেদের হকের ভ্রমণের সুযোগ আবার পাবেন? জবাবে ওই আমলা বলেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী পাওয়া যায় না। কিন্তু প্রথা ভেঙে এই জমানায় অনেক কিছুই হয়েছে। নবান্নের শীর্ষ মহল মনে করলে অতিমারীর সময়ে অবসরপ্রাপ্তদের এই বাড়তি সুবিধা দিতেই পারেন। সবমিলিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে আর্থিক পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নয়া এই দাবিও জোরালো হতে শুরু করেছে প্রশাসনিক মহলে।