বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আসন্ন পৌষ উৎসব নিয়ে বুধবার শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল অফিসের কনফারেন্স হলে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, আশ্রমিক সঙ্ঘ, আলাপিনী মহিলা সমিতি, বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৈঠকে বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য মেনে এই করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে কীভাবে পৌষ উৎসব করা যায়, তা নিয়েই মূল আলোচনা হয়। আলোচনায় স্থির হয়, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মেনে পৌষ উৎসবের মূল অনুষ্ঠানগুলি অর্থাৎ ৭ পৌষ ছাতিমতলায় দীক্ষা দিবস উদযাপন, ৮ পৌষ শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন এবং ৯ পৌষ বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্ট উৎসব উদযাপন করা হবে। এবছর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শততম বর্ষ। তাই এই বছরকে বিশেষভাবে স্মরণ রাখার জন্য বিশ্বভারতীর তরফে প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তবে চলতি কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৮ পৌষ প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের যে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়, তা কাটছাঁট হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। মূলত ওই দিন প্রথাগতভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছাতিমপাতা ও শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে, চলতি করোনা আবহের কারণে এই ঐতিহ্যে এবছর ছেদ পড়তে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের হয়ে শিক্ষাসত্র ও পাঠভবনের দুই অধ্যক্ষ প্রতীকী হিসেবে উপাচার্যের কাছে থেকে ছাতিম পাতা ও শংসাপত্র গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে শান্তিনিকেতন পৌষমেলার মাঠে বা বাউল মঞ্চে এবছর কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মেলা না হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শান্তিনিকেতন সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আসবেন কি না তা এখনই জানা না গেলেও যেহেতু সামনে বিধানসভা নির্বাচন, তাই তাঁর আসার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।