কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতের কাছে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে শনি ও মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এবং পুরুলিয়া জেলায় লালার ডেরায় তল্লাশি চালায় পুলিস। বুধবার সেই সার্চ ওয়ারেন্টের এক্সিকিউশন রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। সিবিআই তদন্তের সময় ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিকের মৃত্যু নিয়েও বিস্তারিত তথ্য আদালতকে দিয়েছে সংস্থা।
রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অবৈধ কয়লা পাচারকাণ্ড নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। এই বিষয় নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদও। প্রথমে পুরো বিষয়টি কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে রাজ্যের পুলিস-প্রশাসনকে জড়িয়ে বিষয়টি দেখানোর চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও সময় যত গড়াচ্ছে, ততই কয়লা পাচারের নতুন নতুন অধ্যায় সামনে আসছে। যা অনেক ক্ষেত্রেই তদন্তকারীদেরও চোখ কপালে তুলছে। ঝাড়খণ্ডে বেশ কয়েক লরি অবৈধ কয়লা ধরা পড়াকে কেন্দ্র করে প্রথম পাচারকাণ্ডের তদন্তে নামে সিবিআই। কিন্তু তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়েই এই চক্রে বহু প্রভাবশালীর নাম সামনে চলে আসতে থাকে। জড়িয়ে যায় ইসিএলের জিএম পদ মর্যাদার বহু আধিকারিক ও সিকিউরিটির উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। এর জেরেই সিবিআইয়ের কলকাতা শাখা ২৭ নভেম্বর ইসিএলের দুই জিএম অমিত কুমার ধর, জয়শচন্দ্র রাই, ইসিএলের চিফ অব সিকিউরিটি তন্ময় দাস সহ কয়েকজন নিরাপত্তা আধিকারিক ও অনুপ মাজি ওরফে ‘লালা’র নামে মামলা রুজু করে। ২৯ নভেম্বর অত্যন্ত গোপনে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে সিবিআই একের পর এক জিএম বাংলো ও এরিয়া অফিসে অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই বহু নথি ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। একই রকমভাবে অভিযান হয় মঙ্গলবারও। এদিন পুরো অভিযানের সামগ্রিক রিপোর্ট আদালতের কাছে পেশ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের মাধ্যমে ওই রিপোর্ট দেন অতিরিক্ত পুলিস সুপার পদমর্যাদার সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার উমেশ কুমার।
এদিন আদালতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রচুর টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়। এই বিপুল টাকা মালখানায় রাখলে তা লুট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে নিজেদের অ্যাকাউন্টে রাখার দরবার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার হওয়া বিভিন্ন সামগ্রী পরীক্ষা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া একটি হার্ডডিস্কেই লুকিয়ে রয়েছে কয়লা পাচারের বহু খুঁটিনাটি তথ্য। তবে এই তদন্ত চলাকালীন শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইসিএলের এক নিরাপত্তা আধিকারিক ধনঞ্জয় রাইয়ের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় খনি অঞ্চলে। বিতর্ক এড়াতে তা নিয়েও আদালতে রিপোর্ট পেশ করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন দেখার লালা ও তার সহযোগী অসাধু অফিসারদের বিরুদ্ধে নতুন কী পদক্ষেপ নেয় সিবিআই। তবে একের পর এক সিবিআই হানার ঘটনা নিয়ে গোটা শিল্পাঞ্চলজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।