বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের রিপোর্ট রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে রাজ্যের প্রশংসায় উৎসাহিত পঞ্চায়েত দপ্তর। বর্তমান আর্থিক বছরে লকডাউনের মধ্যেও ৩৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। ২০০১ সালে এনডিএ সরকারের আমলে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা নামে রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প ঘোষণা করেন অটলবিহারী বাজপেয়ি। ২০০১ থেকে ২০১১ সালে বাম আমলে এই প্রকল্পে রাজ্যে হয়েছে মাত্র ২৯,৭০৫ কিমির কিছু বেশি রাস্তা। তখন ওই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার দিত ৯০ শতাংশ টাকা। রাজ্যকে দিতে হতো মাত্র ১০ শতাংশ।
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সরকারি প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রীয় অনুদানের পরিমাণ ৬০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্ব বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ শতাংশে। কোনও কোনও প্রকল্পে রাজ্যের অনুদানের পরিমাণ ৫০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকল্পের নাম বদলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ সরিয়ে তিনি নাম দেন বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা। এই নাম বদল কেন করা হল, তা জানতে চেয়ে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝিকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপির এক সংসদ সদস্য।
রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই গ্রামবাংলার উন্নয়নে এই প্রকল্পে জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালের মে মাস থেকে এপর্যন্ত, তৃণমূল সরকারের জমানার ন’বছরে ৮৮ হাজার ৪২১ কিমি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অঙ্কের বিচারে বাম আমলের তুলনায় তিন গুণ বেশি। বর্তমানে রাজ্যে মোট গ্রামীণ রাস্তা পরিমাণ ১ লক্ষ ১৮ হাজার ১২৮ হাজার কিমি। সেই সব রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করাই এখন প্রধান কাজ। সেই কাজ ভালোভাবেই হয়েছে বলে ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং টিমের রিপোর্টে প্রকাশ। তারা আরও জানিয়েছে, ‘রোড ফার্নিচারে’র কাজও শেষ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রেও প্রশংসা পেয়েছে রাজ্য। এমনকী স্টেট কোয়ালিটি মনিটরের মাধ্যমে নিয়মিত নজরদারির বিষয়টিও নজর এড়ায়নি তাদের।