বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সূত্রের খবর, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আজ বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের নাইসেড ভবনে গিয়ে কোভ্যাক্সিন নেবেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী। যদিও মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে আগেই, বেলা ১১টা নাগাদ। নাইসেডে এসে এই ট্রায়াল কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার।
নাইসেড সূত্রের খবর, ভারত বায়োটেক, কেন্দ্রীয় শীর্ষ চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর এবং আইসিএমআর-এনআইভি যৌথভাবে করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করছে। এটাই কোভ্যাক্সিন। প্রায় নিষ্ক্রিয় করোনা ভাইরাস দিয়ে তৈরি হয়েছে ভ্যাকসিনটি। দেশজুড়ে ২৪টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫০০ মানুষ এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে নাইসেড-এর পরীক্ষা হবে এক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর এক বছর ধরে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবীর প্রতিক্রিয়া নথিভুক্ত করা হবে। তারপর প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ফলাফল। সেজন্য নাম নথিভুক্তরণ এবং অন্যান্য কাজ চলছে। যদিও বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়েও ষাটের বেশি বয়সি স্বেচ্ছাসেবী পেতে সমস্যা হচ্ছে নাইসেডের। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, বিকেল চারটেয় নাইসেডে যাচ্ছি ভ্যাকসিন নিতে। ওদের (নাইসেড) আসলে বয়স্ক স্বেচ্ছাসেবী পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই যখন এই প্রস্তাব নিয়ে এল, এক কথায় রাজি হয়েছি। কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হতো।
প্রসঙ্গত, ফিরহাদ কোভ্যাক্সিনের স্বেচ্ছাসেবক হতে রাজি হওয়ার পর তাঁর কো-মরবিডিটি এবং আনুষঙ্গিক তথ্য জানতে ফর্ম পাঠায় নাইসেড। মন্ত্রীর দপ্তর থেকে নাইসেডকে তাঁর অসুখবিসুখ ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ক’দিন ধরে নাইসেড আধিকারিকরা এই বিষয়ে প্রায় নিয়মিত মন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছেন।