অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের পরিচালন কমিটি ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে সহ-শিক্ষকদের মধ্যে থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক বাছাই করে সেই প্যানেল ডিআই অফিসে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে তা গিয়েছে স্কুলশিক্ষা ডিরেক্টরেটে। সেখান থেকে সেই প্যানেল অনুমোদন হয়ে একই পদ্ধতিতে আসছে স্কুলে। ৬ আগস্ট কুল শিক্ষাদপ্তরের জারি করা আদেশ নেওয়ার ভিত্তিতে এভাবে নিয়োগ শুরু হয়েছে। এই আদেশনামা বেরনোর আগে পর্যন্ত কোনও বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হতো অন্যভাবে। কোনও বিদ্যালয়ের অনুমোদিত সহশিক্ষকদের আবেদন নেওয়া হতো, যাঁদের কোনও বিষয়ে অনার্স বা পোস্ট-গ্রাজুয়েট ডিগ্রি ও বিটি বা বিএড ডিগ্রি আছে ও পাঁচ বা তার বেশি বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আছে। শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে প্যানেল তৈরি করত নির্বাচন কমিটি। তারপর পরিচালন কমিটি তা অনুমোদন করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে পাঠাত , ছাড়পত্রের জন্য। প্যানেল অনুমোদিত হলে পরিচালন সমিতি নিয়োগপত্র দিত। তবে, নিয়োগ নিয়ে নানা রকমের অভিযোগ পেয়ে প্যানেল অনুমোদনের ক্ষমতা ডিআই অফিসের কাছ থেকে শিক্ষাদপ্তর সরাসরি হাতে নেয়।
প্রসঙ্গত, কোনও মাধ্যমিক বা উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৭৫০ বা ১০০ শতাংশ ছাত্র থাকলে, তবেই সেই বিদ্যালয়ে সহপ্রধান শিক্ষক নিয়োগের অনুমতি পায়। বর্তমান নিয়মে বিদ্যালয়ের এই একটিমাত্র পদের প্যানেলই শুধু অনুমোদন করে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। শিক্ষাদপ্তর সরাসরি এই ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরে অনেকেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই এতদিন প্যানেল আটকে ছিল শিক্ষাদপ্তরে। স্কুলের রুটিন তৈরি করা, পরীক্ষা নেওয়া এবং ক্লাস বিভাজনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিক কাজগুলি সহকারি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব। সেই নিয়োগে দেরি হওয়ায় স্কুলগুলিতে ক্ষোভ বাড়ছিল। অবশেষে গত শুক্রবার শিক্ষাদপ্তরের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর প্যানেলগুলি ডিআই অফিসে পৌঁছতে শুরু করেছে। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, দেরিতে হলেও অবশেষে এই প্যানেল অনুমোদিত হওয়ার উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। আশা করব, সহপ্রধান শিক্ষকের মত গুরুত্বপুর্ণ পদের নিয়োগ ভবিষ্যতে আরও দ্রুততার সঙ্গে হবে।