কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
‘আগে’-র সাফল্য নিয়ে বিপুল উৎসাহিত পঞ্চায়েত দপ্তর। এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে ছিল আনন্দধারা। পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব তথা আনন্দধারা প্রকল্পের রাজ্য কর্তা সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘সর্বভারতীয় রিভিউ মিটিং বাংলার সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা শুধু ৫৬টি গাড়ি কিনিনি, সেগুলিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতেও শুরু করেছি। যা থেকে বাংলার অনেক স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিপুল আয়ের সুযোগ পেয়েছে। বারাসাতের রাস্তায় গোষ্ঠীর মেয়েরা টোটো চালিয়ে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে বেনজির পরিবর্তন আনছে। গোটা দেশের মধ্যে এই প্রকল্পে আমরাই এখন এক নম্বর।’
চলতি বছরের গোড়া থেকে প্রকল্প রূপায়ণে ময়দানে নামেন রাজ্যের আনন্দধারা কর্তারা। ইতিমধ্যেই কেনা, নথিভুক্তিকরণ পর্ব পেরিয়ে ব্যবহার শুরু হয়েছে সবক’টি গাড়ির। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে এই প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। যেখানে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী দু’ধরনের গাড়িই ব্যবহার করা হচ্ছে। বারাসতে কোটরা আদর্শ মহিলা সঙ্ঘের মহিলাদের হাতে টোটোর স্টিয়ারিং উঠেছে ‘আগে’-র সৌজন্যেই। আবার শ্রীকৃষ্ণপুর সবুজ মহিলা সঙ্ঘ পরিচালনা করছে পণ্যবাহী গাড়ি। পিছিয়ে নেই উত্তরবঙ্গও। আলিপুরদুয়ারে আদিবাসীদের মহিলা সঙ্ঘ এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, যাত্রী পরিষেবা দিয়ে মাসে প্রায় ১২ হাজার এবং পণ্য পরিবহণের মাধ্যমে মাসে ১৫ হাজার টাকা রোজগার করছে গোষ্ঠীর মহিলারা। যা নির্দিষ্ট কিছু এলাকার আর্থ-সামাজিক কাঠামো বদলে দিচ্ছে। আর এতেই সাফল্যের মুকুট চড়েছে রাজ্য প্রশাসনের মাথায়।