গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কী ছিল মামলায় অভিযোগ? পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস ওই হোটেলে হানা দেয়। সেখানের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে। তার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। উদ্ধারপ্রাপ্ত ওই কিশোরীকে আদালতের নির্দেশে প্রথমে রাখা হয় মধ্য কলকাতার একটি হোমে। পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় এক মহিলা সহকারি হোমে। ওই কিশোরী শিয়ালদহে একজন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (জেএম) কাছে ঘটনা প্রসঙ্গে গোপন জবানবন্দিও দেয়। সরকারি আইনজীবী জানান, এই ঘটনায় পুলিস তল্লাশি চালিয়ে ওই হোটেলের এক মহিলা ম্যানেজার-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু হোটেলের মালিক বেপাত্তা হয়ে যান। গ্রেপ্তার এড়াতে অভিযুক্ত মালিক উচ্চ আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যায়। পরে ওই অভিযুক্ত হোটেল মালিক শিয়ালদহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁর জেল হেফাজত হয়। কিন্তু পরে সে জামিন পান। এদিকে, মামলার তদন্ত শেষ করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের ইমমরাল ট্র্যাফিক বিভাগ ধৃতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে শুরু হয় মূল মামলার বিচার। আদালতে সাক্ষ্য দেন ১১জন। কিন্তু ঘটনার অভিযোগ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় বিচারক অভিযুক্তদের মামলা থেকে রেহাই দেন।
ধৃতদের তরফে এক আইনজীবী রবিউল হক বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, ওই কিশোরী বিচারকের কাছে যে গোপন জবানবন্দি দিয়ে ছিল সেখানে সে অভিযুক্ত হিসাবে এক যুবকের নাম বলে। সে দাবি করে, ওই যুবকই তাকে ওই হোটেলে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই কিশোরী আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে বলে, ঘটনার দিন সে ওই যুবকের সঙ্গে কিছুটা সময় ঘোরাঘুরি করে এবং তাঁর সঙ্গে একটি রেস্তোরাঁতেও যায়। ফলে ঘটনার স্থান নিয়ে রয়ে যায় নানা ধোঁয়াশা। পাশাপাশি এই মামলায় অন্য সাক্ষীদের বয়ানেও ছিল নানা অসঙ্গতি। অভিযোগ ওঠে, যে হোটেল থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিসের দাবি করে, সেই হোটেলের ঘরটিও পুলিস ‘সিল’ করেনি। সব মিলিয়ে আদালতের কাছে মামলার অভিযোগ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় বিচারক পাঁচজনকেই মামলা থেকে ‘মুক্তি’ দেন।