রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এনামুলের দলে কাজ করা মহম্মদ মেহেবুব বৈয়গ, সৈয়দ ইমরান, তাজমুল শেখ, ফিরোজ শেখ ওরফে সাদ্দাম আগেই এনআইএর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনের সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এনামুলের এই সঙ্গীরা বিভিন্ন রাজ্যের অবৈধ কারবারিদের কাছে জালনোট পৌঁছে দিত। ২০১৮ সালে তাদের দু’জন ১০ লক্ষ ২০হাজার টাকার জালনোট সহ গ্রেপ্তার হয়েছিল। ওই দু’জনের কাছ থেকেই এনামুল সহ বাকিদের নাম জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরপরই এনামুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল গোয়েন্দারা। অবশেষে কিছুদিন আগে সে গ্রেপ্তার হয়। এরপরই গোরু ও কয়লা পাচারে জালনোট ব্যবহার হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারে। এই দুই কারবারের টাকা এরাজ্য ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গোরু পাচারের মূল চক্রীর নামও এনামুল। সম্প্রতি তাকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। জামিনও পেয়ে যায় সে। করোনায় সংক্রামিত হওয়ায় আপাতত গৃহবন্দি সে। যদিও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ভিডিও কলে তিন-চারবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে বাস্তবে মিল না থাকায় তাকে সামনাসামনি জেরা করার জন্য গোয়েন্দারা মুখিয়ে রয়েছেন। ওই অবৈধ কারবারি কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। তার মাধ্যমেই আসানসোল শিল্পাঞ্চল থেকে আসা কয়লা বাংলাদেশে যেত। প্রতিদিনই কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হতো। এই টাকার মধ্যে খুব সহজেই জালনোট ঢুকিয়ে চালিয়ে দেওয়া হতো বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। সেই কারণে গোরু ও কয়লা পাচার চলাকালীন জালনোটের রমরমা রাজ্যে ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছিল, এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাদের মতে অন্যান্য অবৈধ কারবার বন্ধ থাকলে জালনোটের রমরমাও কমবে। খোলাবাজারে এই ধরনের নোট বেশি চালানো যায় না। জালনোট পাচারের মূল উপড়ে ফেলতে তাদের নজরে এখন ওই বাংলাদেশিরা রয়েছে।
এক আধিকারিক বলেন, প্রয়োজনে গোয়েন্দারা বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা নেবে। জাননোট কারবারিদের নামের তালিকা সে দেশে পাঠানো হবে। তাদের মাধ্যমেই সীমান্ত পেরিয়ে টাকা এপারে আসত। সেই কারণে ওই বাংলাদেশি পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করতে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় গোয়েন্দারা অনেক বেশি নজরদারি বাড়িয়েছেন।