বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পাশাপাশি অবৈধ কয়লা পাচারের সঙ্গে ইসিএল, সিআইএসএফ, রেলের আধিকারিকদের নাম জড়িয়ে যাওয়ার ঘটনায় সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, সিআইএসএফ সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার সহযোগিতায় চলছে কয়লা লুট। এতে জড়িত রয়েছে বিজেপির বহু বড় মাথা। বিজেপি দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে বলার কোনও অধিকারই নেই। যে ইসিএলে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সিবিআই রেড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি সরগরম, সেখানে অনেকটাই গাছাড়া ভাব ইসিএলের। সংস্থার চিফ অব সিকিউরিটি, দু’জন জিএম ও দু’জন উচ্চপদস্থ সিকিউরিটি অফিসারের নামে সিবিআই এফআইআর করলেও তাদের এনিয়ে হেলদোল নেই। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করছে না ইসিএল।
সংস্থার সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, আলাদা করে তদন্ত করার কোনও নির্দেশ আসেনি।
আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর, কাজোড়া, সালানপুর, কুলটি বিস্তীর্ণ খনি অঞ্চলজুড়ে যে ‘অরগানাইজ’ পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিমাণে কয়লা লুট হয়েছে, তা সিবিআইয়ের বয়ানে স্পষ্ট। কয়লা পাচারের কিং পিন ‘লালা’-র সঙ্গে শাসক দল ও রাজ্যের পুলিস প্রশাসনের যোগ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। কিন্তু সিবিআই তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে, একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার নাম জড়াচ্ছে। ইসিএল, সিআইএসএফের মদতেই যে কয়লা লুট হয়, তা নিয়ে আগেও একাধিক অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু এবার সরাসরি নাম জড়াচ্ছে রেলের আধিকারিকদেরও। তবে কি রেলের সাইডিংয়ে এই কারবার চলত লালার অঙ্গুলিহেলন? সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআর কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, আধিকারিকদের মদতেই সরকারি সম্পত্তি সরকারি ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে লুট করেছে কয়লা সিন্ডিকেটের ‘বাহুবলী’। এফআইআরে দুটি ইসিএলের লিজ জমি থেকে কয়লা লুটের উল্লেখ থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিস্তীর্ণ ইসিএল এলাকার বহু জায়গা থেকেই এই লুট হয়। সেই লুটের কয়লা হাজির হয় রেলওয়ে সাইডিংয়ে। সেখান থেকে ইসিএলের জাল কাগজ দেখিয়ে তা গন্তব্যে পাড়ি দেয়। এনিয়ে আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকারকে ফোন করা হলেও তিনি তা কেটে দেন। এসএমএসেরও কোনও উত্তর দেননি।
প্রকাশ্যে আধিকারিকরা মুখ না খুললেও রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের দাবি, রেলওয়ে গুডস শেডগুলি আরপিএফ, রেল আধিকারিকদের নজরে থাকে। কিন্তু সাইডিংয়ের নিরাপত্তা দেয় সিআইএসএফ ও ইসিএলের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানে রেলের এক দু’জন আধিকারিক থাকলেও বেশিরভাগ দায়িত্ব তাঁদের থাকে না।