গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলকাতার বেশকিছু কলেজে কথা বলে জানা যাচ্ছে, সদ্য ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি পাঁচ বছরের পুরনো পড়ুয়ারাও রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকায়। দক্ষিণ শহরতলির একটি কলেজের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০১২ সাল তো বটেই তার আগে রেজিস্ট্রেশন হওয়া বেশকিছু পড়ুয়া এই তালিকায় রয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী স্নাতক স্তর উত্তীর্ণ হতে মোট আট বছর সময় পাওয়া যায়। তাই ২০১২ সালের পরীক্ষার্থী হিসেব মত থাকতেই পারেন। তার আগের কোনও পরীক্ষার্থী এলে সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। এক শিক্ষকের বক্তব্য, সম্ভবত এটি ভুল করেই চলে এসেছে। যেমন অনেক ছাত্রছাত্রীকেই চিনি, যারা আগের সব পেপারে উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের নামও তালিকায় রয়েছে। আর কলেজ এমন বহু পরীক্ষার্থীরই হদিশ পাচ্ছে না।
সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা শেষ করতে হাতে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে কলেজগুলির। বাড়ি থেকেই পরীক্ষা দেবেন পড়ুয়ারা। যদি কেউ একটি পরীক্ষা মিস করেও যায়, তাহলে তো পরেও তা নেওয়া যেতে পারে। এ অধ্যক্ষ বলছেন, বলছেন ব্যাপারটি এত সোজা নয়। পরে আর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে না বললেই চলে। কারণ এই সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র করা এবং তার মার্কস তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো, এগুলি কলেজের কাছে বাড়তি কাজ। প্রশ্নপত্র আগে বিশ্ববিদ্যালয়ই তৈরি করে পাঠাতো। মূল্যায়নও হত কেন্দ্রীয়ভাবে (অনার্সের ক্ষেত্রে)। বিশেষ পরিস্থিতিতে সবই কলেজকে করতে হচ্ছে। ১৫০০ আসনের একটি মাঝারি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, শুধুমাত্র বাণিজ্য বিভাগের জন্যই তাঁদের ৭১ ধরনের প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হয়েছে। কারণ, বাণিজ্যে দু’রকম সিলেবাসের পরীক্ষার্থীই রয়েছেন। শুধুমাত্র বাণিজ্য বিভাগেই প্রায় ১৫ হাজার মার্কস আপলোড করে পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। এর থেকেই স্পষ্ট, সুরেন্দ্রনাথ বা সিটি কলেজের মতো দ্বিগুণ বহরের প্রতিষ্ঠানগুলির উপরে কী ধরনের চাপ রয়েছে। এর পাশাপাশি চলছে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন। সেই বিপুলসংখ্যক নথি প্রাথমিকভাবে মিলিয়ে দেখে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠাচ্ছে কলেজগুলি। তাই এসব চাপ সামলে বারবার পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। রেজিস্ট্রেশনের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। এই পরিস্থিতিতে তা আরও বাড়ানোর আবেদন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছে বেশকিছু কলেজ।