অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে ভর্তি নির্দেশিকা দিয়ে বলা হয়েছে, স্কুলের আসনের থেকে আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হলে লটারি করতে হবে। সেই ফর্মই দেওয়া এবং জমা নেওয়া চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১১-১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে লটারি সেরে ফেলতে হবে। আর ভর্তি শুরু করতে হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। স্কুল থেকে বা বাংলার শিক্ষা পোর্টাল থেকে এই ফর্ম বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। জমা দিতে হবে যে স্কুলের জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেখানেই। তবে, ইতিমধ্যেই কোনও স্কুল যদি ফর্ম দিয়ে থাকে আর অভিভাবকরা তা পূরণ করে জমা দিয়ে থাকেন, তাহলে নতুন করে আর কিছু করতে হবে না।
গোটা ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে টেনে আনা যাবে না। যা কিছু তথ্যাদি সবই পড়ুয়ারা সেলফ অ্যাটেস্টেড করে দেবে। অর্থাৎ সেগুলিতে পড়ুয়াদের সই থাকলেই চলবে। তবে এতে অভিভাবকদের স্বাক্ষরও গ্রাহ্য করা হবে। কোনও পড়ুয়ার যদি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি হতে না পারে তাহলে তার অভিভাবকরা ডিআইয়ের কাছে আবেদন করবেন। কাছাকাছি কোনও স্কুলে তার ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এই ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষকদের বেশকিছু আপত্তি রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এই প্রক্রিয়া চালাতে কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী থাকলেই যথেষ্ট। এর জন্য রোস্টার করে সমস্ত শিক্ষককে স্কুলে ডাকার প্রয়োজন নেই। তাছাড়া বার্ষিক পরীক্ষা হয়নি। ফলে শুধুমাত্র বয়সের ভিত্তিতে ভর্তি নেওয়া হলে দেখা যাবে, কেউ হয়তো একটি ক্লাস টপকে ছেলে বা মেয়েকে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও এখনই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নামী স্কুলগুলিতে একটু দূরের পড়ুয়ারা আসতে পারবে না। কারণ, কোভিডের মধ্যে পড়ুয়াদের দূরে পাঠাতে চাইবেন না অভিভাবকরা। অথচ শেষপর্যন্ত হয়তো দেখা গেল, শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে মার্চে, আর তখন সংক্রমণ রইল না। সেক্ষেত্রে কিন্তু এই পড়ুয়াদের বা তাদের অভিভাবকদের আপশোস থেকে যাবে। তাই কবে থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু হবে, তা এখনই স্পষ্ট করা উচিত ছিল।