বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মিউচুয়াল ট্রান্সফারের নিয়ম অনুযায়ী, আবেদনকারী দু’জন শিক্ষককেই এতদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনে সশরীরে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হতো। শুধুই শিক্ষক দু’জনই নন, তাঁদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালন কমিটির সদস্যদেরও ডাকা হতো। এটি একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল। তার উপর করোনার জন্য এধরনের শুনানি থমকে গিয়েছিল। ফলে প্রচুর এমন আবেদন জমে যায়। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশেষে শুনানির এই দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়াই তুলে দিতে নির্দেশ দেন। জমে থাকা আবেদন দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, সরকারিভাবে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের পোর্টালও খুলে দেন। তারপরে শুনানির বিষয়টি পুরোপুরি ভার্চুয়াল হয়ে গিয়েছে। ডিআই অফিস থেকেই ফোন করে সেরে ফেলা হচ্ছে এগুলি। সেই রিপোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশনে যাচ্ছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে তা যাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। সেখান থেকে ‘ম্যাচিং অর্ডার’ সামঞ্জস্যপূর্ণ আদেশনামা বের করে শিক্ষকদের স্কুলে যোগ দিতে বলা হচ্ছে।
জমে থাকা প্রায় পাঁচশোরও বেশি মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন এভাবে ছাড়া হয়েছে। পর্ষদের তরফেও অর্ডার বের করে দেওয়া হয়েছে। তবে, নতুন আবেদন নিয়ে আগ্রহ বেশি শিক্ষকদের মধ্যে। এক্ষেত্রে কিন্তু চাকরির মেয়াদ বা অভিজ্ঞতা কোনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। আবেদন করলেই তাঁর এরকম ভার্চুয়াল শুনানি হচ্ছে। বেশকিছু নবীন শিক্ষকও ফোন পেতে শুরু করেছেন। আধিকারিকদের একাংশ অবশ্য এটিকে ভার্চুয়াল শুনানির বদলে ‘ভেরিফিকেশন’ বা তথ্য যাচাইকরণ বলার পক্ষেই সওয়াল করছেন। আবেদন করলে ওটিপি আশা নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে সেইসব মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা চলছে বলে জানান এক আধিকারিক। সমস্যাগুলি মিটে গেলে কাজ আরও গতি পাবে বলে তাঁর দাবি।
অল বেঙ্গল পোস্ট গ্রাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সম্পাদক চন্দন গড়াই বলেন, শিক্ষকদের বদলি তে সরকারের এই পদক্ষেপ খুবই অভিনব। তবে আমাদের কিছু অভিযোগ রয়েছে যা আমরা একাধিকবার এসএসসি এবং শিক্ষা দপ্তরের জানিয়েছি। আমাদের হিসেব অনুযায়ী প্রায় হাজারখানেক মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন জমা ছিল এসএসসির কাছে। আর ছাড়া হয়েছে পাঁচশোর কিছু বেশি। সম্প্রতি যে শুনানি শুরু হয়েছে সেগুলি অনলাইনের মাধ্যমে করা নতুন আবেদনের। তাহলে অফলাইনে করা পুরনো পাঁচশো আবেদন কোথায় গেল? এসএসসি আমাদের জানিয়েছে, সবই শিক্ষাদপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাদপ্তরের যোগাযোগ করলে তারা কিছু বলতে পারছে না। তাই আমাদের দাবি, পুরনো আবেদনগুলি দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে।