বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের আগে রাজনীতির উত্তাপ ক্রমশই বাড়ছে। সভা, সমাবেশ থেকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই অবস্থায় বাংলায় বাহুবলী তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি করছে বলে মন্তব্য করেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবার তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের গন্ডগোলের পরিকল্পনা করে বাংলায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা বিজেপি ক্রমাগত করে চলেছে। কিন্তু এসব করে কোনও লাভ নেই। বীরভূমের ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বিজেপি নেতারা বাহুবলী রোল তৈরি করছেন। মনে হয় বাহুবলী সিনেমার দু’টি পার্ট তাঁরা দেখে ফেলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের বাহুবলী হয়ে ওঠার দরকার হয় না। বাংলার মানুষ এসব ভালো চোখে দেখছেন না।
এখানে তৃণমূল নেতৃত্ব উল্লেখ করেছেন, বাংলার মানুষ বিজেপির কৌশল বুঝে গিয়েছেন। বাংলার মানুষের জন্য কোনও বার্তা না দিয়ে, বিজেপি নেতারা নিজেদের ক্ষমতা দখলের বার্তা ক্রমাগত দিয়ে চলেছেন। পার্থবাবুর পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, ওরা (বিজেপি) মারধর, গুন্ডামি, খুনখারাপির রাজনীতি করে। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের ঘটনা তারই প্রমাণ। গুন্ডামি করলে আইনের শাসন কেন থাকবে। একই সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম এও বলেছেন, চম্বল থেকে নেতা আসুক। কিন্তু চম্বলের সংস্কৃতি এলে বাংলা গোল্লায় যাবে। তৃণমূল থাকতে তা কোনওভাবেই হবে না।
বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি ও অশান্তি তৈরির বিরুদ্ধে তৃণমূল সরব হবে বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় শান্তির পরিবেশ রয়েছে। মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা রেখেছেন। ফলে বিজেপির এখানে আসা সেগুড়ে বালি। নেতৃত্বের দাবি, ২০১১ ও ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা অব্যাহত থাকবে ২০২১ সালেও।
তাছাড়া বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য নিয়েও সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য,
রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা ইদানীং
সভা, সমাবেশে যে মন্তব্য করছেন, তা বাংলায় অপসংস্কৃতি আমদানি করা হচ্ছে। শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষদস্তিদার, নুসরত জাহান ট্যুইট করে বলেছেন, বিজেপি মহিলা-বিরোধী একটি দল।