নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: অশোকনগরে ওএনজিসির প্রকল্প এলাকায় চাষ করা কৃষকরা চাকরির দাবিতে সোমবার রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করেন। ওই আন্দোলনে তৃণমূল নেতার উপস্থিতি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। এবার আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল সিপিএম। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশোকনগরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় মানুষের ধারণা, চাষিদের পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বামেরা পিছিয়ে থাকতে চাইছে না। তাই তারা চাষিদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়লে আদৌ ওএনজিসি সঠিক সময়ে প্রকল্প শুরু করবে কি না তা নিয়ে এলাকার বহু মানুষ আশঙ্কায় রয়েছেন। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোকনগরে তেল ও গ্যাসের বিপুল সম্ভার পেয়েছে ওএনজিসি। চলতি আর্থিক বছরে বাণিজ্যিকভাবে তেল ও গ্যাস উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার অশোকনগর পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান সমীর দত্তের নেতৃত্বে কৃষকরা বিক্ষোভ দেখান। ওএনজিসি অফিসের সামনে নৈহাটি রোড অবরোধ করা হয়। যদিও শাসক দল দাবি করেছিল, এই বিক্ষোভের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। বুধবার অশোকনগরের বাম নেতৃত্ব আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর, প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস, ভবতোষ হালদার, বিদ্যুৎ কাঞ্জিলাল প্রমুখ। 
এদিন তাঁরা চাষিদের সঙ্গে কথা বলে আন্দোলনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। যে-কোনও কর্মসূচিতে তাঁরাও পাশে থাকবেন বলে জানান। এই বিষয়ে চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, আমরা চা‌ই দ্রুত ওএনজিসির প্রকল্প অশোকনগরে শুরু হোক। তবে, মনে রাখতে হবে প্রকল্প এলাকার সরকারি জমিতে বহু কৃষক চাষ করেন। এতে তাঁদের সংসার চলে। তাই তাঁদের তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি ন্যায্য। তাই আমরা তাঁদের পাশে থাকব বলে জানিয়েছি। কৃষকদের আন্দোলনে এক তৃণমূল নেতার সমর্থন দেখেই কি বামেরা গিয়েছেন? এই প্রশ্নে চিত্তরঞ্জনবাবু বলেন, আমরা কাউকে দেখে যাইনি। আমরা চাই চাষিরা ক্ষতিপূরণ পান। কিন্তু চাষিকে দেখিয়ে কোনও ব্যক্তি নিজে কিংবা দলগতভাবে সুবিধা নেবেন, তা আমরা হতে দেব না।