পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিসকর্তারা জানিয়েছেন, বিচ্ছিন্নভাবে কিছু সময় ভিড় হলেও তা সামাল দেওয়া হয়েছে। বুধবার বিসর্জনের শেষদিন হওয়ায় বিরাট বাহিনী নামানো হয়েছিল। সামাজিক দূরত্ববিধি রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু সময়ে তা কড়াকড়ি কম হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু পুলিস তৎপরতার অভাব ছিল না। জগদ্ধাত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, পুজোর মধ্যে যাবতীয় বিধি মানা হয়েছে। বিসর্জনেও সরকারি বিধি উদ্যোক্তারা মেনেছেন। এমনকী, দূষণের কথা মাথায় রেখে প্রতিমার ফুলও সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আম জনতার উচ্ছ্বাসে রাশ টানা সবসময় হয়তো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবারের থেকে বেশি ভিড় হলেও সামাজিক দূরত্ববিধি মানাই হয়নি, এমন পরিস্থিতিও অবশ্য হয়নি। তবে বছরের শেষ উৎসব। মানুষ হয়তো একটু বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল। এবারের পুজোই আম জনতা সচেতনতার যে স্বাক্ষর রেখেছে তা অভূতপূর্ব।
এবারে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে আগ্রহ থাকলেও উদ্দীপনার অভাব শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল। একেই পুজোর জৌলুস ছিল কম। তার উপরে করোনা নিয়ে উদ্বেগে বাঁধনাহারা ভিড়ের চিত্র উধাও ছিল। রাস্তাঘাটেও উৎসাহী জনতার অভাব ভালোই টের পাওয়া গিয়েছে। মণ্ডপকে কেন্দ্র করে জটলা থাকলেও পথেঘাটে থিকথিকে ভিড় ছিল না। ফলে সামাজিক দূরত্ববিধি অনেকখানিই পালিত হয়েছে। বিসর্জনে শোভাযাত্রায় এবার নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে সেখানেও ভিড় হবে না এমনটাই ভাবা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিসর্জনের প্রথমদিন সেই পূর্বাভাস মিলেও গিয়েছিল। কিন্তু বাঁধ ভাঙল বুধবার।
বুধবার সকাল থেকেই চন্দননগরে বিসর্জনের তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তখনও তেমন ভিড় ছিল না। কেবল নির্ধারিত সংখ্যক পুজো উদ্যেক্তাদেরই পথে দেখা গিয়েছে। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আচমকা বিসর্জন স্থলের আশেপাশে ভিড় জমতে শুরু করে। মধ্য দুপুরে কার্যত উপচে পড়া ভিড় দেখা গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বারেবারে পুলিসকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যেতে হয়েছে। তাতে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ফের জনতার ঢল নেমেছে। মাস্ক ছিল সিংহভাগ মানুষের কাছে। কিন্তু উৎসব মরশুমের শেষ মুহূর্তকে প্রাণভরে উপভোগের আগ্রহে বারবার দূরত্ববিধি লঙ্ঘন করেছে আম জনতা। -নিজস্ব চিত্র