কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লকডাউনে একপ্রকার বন্ধ ছিল পঞ্চায়েতগুলির কর আদায়। যাঁরা সেই কর আদায় করে পঞ্চায়েতে জমা দেন এবং সেই বাবদ কমিশন পান, তাঁদের রোজগার ছিল বন্ধ। এরপর আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু তাঁদের পরিস্থিতি ততটা বদলায়নি বলেই জানিয়েছেন কর আদায়কারীরা। কারণ কর আদায় বাড়েনি বা সেই কাজে গতি আসেনি। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে নতুন একটি সমস্যা। অভিযোগ, এই পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত মোটা টাকার বিনিময়ে নতুন করে কর আদায়কারী নিয়োগ করছে। ফলে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের রোজগারও প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ছে। সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনে এবং ব্যক্তিস্বার্থ মেটাতেই এই নিয়োগ হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ করুক, চান কর আদায়কারীরা।
এরাজ্যে ‘গ্রাম পঞ্চায়েত ট্যাক্স কালেক্টিং সরকার’ নামে যে পদ রয়েছে, সেই পদাধিকারীরা সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি ও জমির কর আদায় করেন। কোনও কোনও পঞ্চায়েত এর সঙ্গে ট্রেড ট্যাক্স বা ব্যবসায়িক কর আদায় করায় তাঁদের দিয়ে। বর্তমানে তাঁদের বেতন মাসে ছ’শো টাকা। ট্যাক্স কালেক্টরদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েত কর আদায়কারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অমলকুমার বাপুলির কথায়, এর সঙ্গে আমরা কমিশন পাই। ছ’হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করতে পারলে ১০ শতাংশ কমিশন মেলে। তার উপর ছয় থেকে আট শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি আদায় করলে বর্ধিত অংশের উপর কমিশন মেলে ১৫ শতাংশ। একই সূত্র মেনে আদায়ের পরিমাণ আট শতাংশ পেরলে কমিশন দাঁড়ায় ২০ শতাংশ। কিন্তু আদায়ের পরিমাণ এতই কম, যে তা সংসার চালানোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়, দাবি অমলবাবুর। পাশাপাশি ওই ছ’শো টাকাও মেলে অনিয়মিত, জানিয়েছেন তিনি। অমলবাবুর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছেন। সরকারের কাজে যুক্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের বেতন বা প্রাপ্য টাকার অঙ্ক বাড়িয়েছেন। তা দেখে আমরাও আশায় বুক বাঁধছি। মুখ্যমন্ত্রী যদি আমাদের দিকটা একটু বিবেচনা করেন, তা হলে কয়েক হাজার পরিবার বেঁচে যায়।