কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
খুচরো বাজারে সাধারণ জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার হিমঘর থেকে বের হওয়ার পর আলুর দাম ছিল প্রায় ৩৯ টাকা। ফলে আগামী দিনে বাজারে দাম আরও বাড়ার একটা আশঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে বাজারে নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে। রাজ্য সরকারের সুফল বাংলার স্থায়ী ও অস্থায়ী স্টলে পুজোর আগে থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। প্রথম দিকে সরকার কিছুটা ভর্তুকি দিয়ে সুফল বাংলায় আলু বিক্রি করেছে। পরবর্তীকালে সরকারি উদ্যোগে হিমঘরে সংরক্ষিত আলু সুফল বাংলার স্টল ছাড়াও রাজ্যজুড়ে বেশ কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়। কৃষি বিপণন দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, এখন সুফল বাংলা-সহ ছ’শোর বেশি জায়গা থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে রোজ আলু বিক্রি করা হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার সরকারি উদ্যোগে সংগৃহীত আলু খুচরো বাজারেও সরবরাহ করা হবে। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি উদ্যোগ সংগৃহীত যে আলু আছে তার বাইরে আরও আলু জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। তবে খোলাবাজার থেকে আলু কিনে সরকার ভর্তুকি দিয়ে তা বাজারে সরবরাহ করবে কি না সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সরকারি উদ্যোগে এবার ৪২ হাজার টন আলু হিমঘরে রাখা হয়েছিল। এখনও ওই আলুর যে বড় অংশ হিমঘরে রয়েছে তা দ্রুত বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সরকারি উদ্যোগে ২২ টাকা কেজি দরে আলু বাজারে পৌঁছে দেওয়া হবে। ওই আলু ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। কোনও বিক্রেতা বেশি দামে ওই আলু বিক্রি করলে কড়া ব্যবস্থা নেবে সরকার। যে বিক্রেতা সরকারি নির্ধারিত দামে বিক্রি করবেন তিনি বাজারের দামে অন্য আলু বিক্রি করতে পারবেন না বলে ঠিক করা হয়েছে।
নতুন আলু বাজারে না-আসা না পর্যন্ত খোলাবাজারে দাম কমার সম্ভাবনা কম। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত দামে যতটা বেশি পরিমাণে সম্ভব আলু বাজারে পৌঁছে দিতে চাইছে সরকার। সরকারের হাতে যে আলু আছে তাতে বেশকিছু বাজারে ডিসেম্বর মাসের গোড়া পর্যন্ত আলু সরবরাহ করা যাবে বলে আশা করছেন সরকারি কর্তারা।