পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কীভাবে বিষয়টি জিএসটি’র ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নজরে এল? দপ্তর সূত্রের খবর, ভুয়ো লেনদেনের রশিদ বিক্রির চক্র সক্রিয় কলকাতা তথা গোটা রাজ্যে। এর মাধ্যমে একদিকে কালো টাকা সাদা হচ্ছে, অন্যদিকে জিএসটি রিটার্ন তুলে নেওয়া হচ্ছে। সেকারণে এই ধরনের কোম্পানি নিয়ে তারা খোঁজখবর চালাচ্ছে। সেটি করতে গিয়ে রঞ্জনবাবুর কোম্পানির নাম জানা যায়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, এই কোম্পানির অফিস কলকাতার গ্রান্ট লেনে। রঞ্জনবাবুর একাধিক কোম্পানি আছে। তার বেশিরভাগই বিভিন্ন জিনিস উৎপাদন ও বিক্রি করে থাকে। ওই সব কোম্পানি থেকে বহু ব্যবসায়ী বিভিন্ন সামগ্রী কিনেছেন নানা সময়ে। যে হারে রশিদ জমা পড়েছে, তা দেখে সন্দেহ হয় অফিসারদের। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, এগুলি সব কাগুজে কোম্পানি। তারা কোনও কিছু তৈরি করে না এবং বিক্রিও করে না। প্রাথমিকভাবে এই ধরনের ১০টি কাগুজে কোম্পানির নথি হাতে আসে তদন্তকারীদের। দেখা যায়, কোম্পানির পিওনদেরই ডিরেক্টর হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এই কোম্পানিগুলির কাজ কী? তদন্তকারী অফিসারদের ব্যাখ্যা, রঞ্জনবাবুর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায়ী যোগাযোগ করতেন। টাকার বিনিময়ে তাঁদের ভুয়ো রশিদ বিক্রি করেন এই কোম্পানির কর্ণধার। শুধু তাই নয়, জিএসটি ফাইল করত তাঁর সংস্থা। ভুয়ো রশিদ যাঁরা নিয়ে যেতেন, তাঁদের জিএসটি রিটার্ন পেতেও সাহায্য করতেন রঞ্জনবাবু। চক্র গড়েই চলছিল এই কারবার। কলকাতা ছাড়াও দিল্লি, পাটনায় তাঁর কোম্পানি আছে। ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। পাশাপাশি এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে হাওলার টাকা সাদা করা হতো। জানা গিয়েছে, আরও ৪০ থেকে ৫০টি এই ধরনের কোম্পানি রয়েছে। এই নিয়ে রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অফিসাররা। কালো টাকা সাদা করার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে মানি রুটের খোঁজ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।