বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক কাজকর্ম যেমন চলছে, তেমনই টানা এক সপ্তাহ ধরে দলের রাজ্য সদর দপ্তরে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতারা। সেইসঙ্গে চলছে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পর্ব। মঙ্গলবারও যা অব্যাহত থাকল। ইতিমধ্যেই বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিন কয়েকের মধ্যে আবারও তিনি আসতে চলেছেন। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের প্রশ্ন, অমিত শাহ বাংলার ম্যাপটা এখনও ভাল করে চিনলেন না, ২০০ আসন পাওয়ার কথা বলছেন কি করে? গুজরাতে থাকেন উনি। বাংলায় কত আসন পাবেন এটা কী করে আগে থেকে বলছেন। পাশাপাশি অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদের মর্যাদা রাখছেন না বলেও মন্তব্য করেন। তাঁর কথায়, আমি আশা করেছিলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসে বিএসএফ কীভাবে কাজ করছে, গরু পাচার বন্ধ করাতে পেরেছে কি না, নেপাল-ভুটানে কোনও ভারত-বিরোধী প্রচার হচ্ছে কি না, এইসব নিয়ে খবর নেবেন। কিন্তু বাঁকুড়ার গিয়ে ভুল মূর্তিতে মালা দিলেন, আর মতুয়া সম্প্রদায়ের একজনের বাড়িতে খেয়ে গেলেন। এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ? বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাও বাংলা সফর করেছেন। তাঁকে আক্রমণ করে সৌগত বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বেড়াতে আসতে পারেন। এখানে এসে উন্নয়ন দেখে যান। বাংলা সম্পর্কে জানুন। হিমাচলে প্রচুর ঠান্ডা। তাই মাঝেমধ্যে ওখান থেকেও কিছু লোক আসে। এমনকী, ছেলের হাতে সরকারি আধিকারিকদের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনার কথা তুলে ধরে বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ। করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এই অবস্থায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মন্তব্য নিয়ে সরব সৌগত। দলের নির্দেশে সোমবার রাতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌগতবাবু। বলেছেন, আলোচনা হয়েছে। আবারও আলোচনা হবে। বরফ গলল না, এভাবে বিষয়টিকে দেখা ঠিক নয়। দলের মধ্যে সকলের সঙ্গে সদ্ভাব রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাব।