পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ন’বছরে মা-মাটি-মানুষের সরকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নে জনমুখী যে সমস্ত প্রকল্প রূপায়িত করেছে, তার নির্যাস সভাস্থল উপচে পড়া জনতার সামনে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, ৯০ শতাংশ কাজ সারা হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দেন তিনি। মমতা বলেন, এবার ‘মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাবে সরকার’। কীভাবে রূপায়ণ করা হবে সেই লক্ষ্যমাত্রা? জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীই। বলেছেন, ‘আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই কাজ। রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে ক্যাম্প করে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনবেন সরকারি আধিকারিকরা। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে তিনটে পর্যন্ত চলবে সেই ক্যাম্প।’ সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত যাবতীয় আর্জি ও আবেদন শুনে সেখানেই সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে প্রকল্প।
বাউরি সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের আবাসস্থল বাঁকুড়া জেলা। এই সম্প্রদায়ের সামগ্রিক মানোন্নয়ন দীর্ঘদিনের আর্জি রাজ্যের কাছে। এদিন খাতড়ার সভামঞ্চ থেকে বাউড়ি কালচারাল বোর্ড গঠনের ঘোষণা করা মাত্রই সোল্লাসে করতালির ধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে জনতা। মমতা বলেন, ‘বাউরি সম্প্রদায়ের মানুষের মানোন্নয়নে কাজ করবে এই বোর্ড।’ বোর্ডের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণাও করেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়ে দেন নবগঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্য সদস্যদের নামও। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি তরফে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এই বোর্ডের প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখবেন।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ব্যাঙ্ক ঋণের মাধ্যমে দু’লক্ষ বেকার যুবককে মোটর সাইকেল দেওয়া হবে। এদিন সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে মিলবে মোটর সাইকেলের জন্য ঋণ। প্রকল্পের নাম ‘কর্মই ধর্ম’। মোটর সাইকেলে থাকবে একটি বাক্স। তাতে আনাজপাতি, মাছ বা জামা কাপড় ভরে বিক্রিও করা যাবে। মমতার কণ্ঠে সেই চিরন্তন সত্য... ‘মনে রাখতে হবে, কোনও কাজই ছোট নয়’।