গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলের এই জেলায় নিজেদের রাজনৈতিক ভিত অনেকটাই শক্ত করেছে পদ্মফুল শিবির। ঘন ঘন এই জেলার নানা প্রান্তে যাতায়াতও শুরু করেছেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা। যাতায়াতের এই পর্বে চলতি মাসের গত ৫ নভেম্বর এই তালিকায় নিজের নাম সংযোজন করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাঁকুড়ায় এসে এক আদিবাসী কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন টিম মোদির সেকেন্ড ইন কমান্ড। এদিনের ভাষণে পরপর দু’বার সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা কটাক্ষবাণে বিঁধেছেন বিজেপি’র এই পোস্টার বয়কে। এদিন খাতড়ার সভাস্থলে আসার পথে আচমকাই আদিবাসী অধ্যুষিত বেঁকিয়া গ্রামে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামের এক বাড়িতে খাটিয়া পেতে বসে পড়েন। গ্রামবাসীদের অভাব-অভিযোগও শোনেন। সভায় সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা বলেন, এটা কিন্তু বিজেপি নেতাদের মতো নয়! লোক দেখাতে দলিত-আদিবাসীর বাড়িতে খাওয়ার বিষয় নয়। যেখানে ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আনিয়ে ছবি তোলার জন্য মধ্যাহ্নভোজন হয়! বক্তৃতার শেষ পর্বে ফের সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতার কটাক্ষ, কয়েকদিন আগে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন এক আদিবাসীর বাড়িতে। ব্রাহ্মণকে দিয়ে বাইরে থেকে রান্না করিয়ে আনা হয়েছিল। আদিবাসী পরিবারকে কিছুই করতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, সাহায্য করা হবে ওই পরিবারকে। কিছুই হয়নি। ওই পরিবারের একটি মেয়ে থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত। এই পর্বে ফের কটাক্ষের সুর মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বললেন, ধনেপাতা আর বাঁধাকপি কাটাকাটি হল। অথচ সেই তরকারি খাননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাসমতী চাল আর পোস্তর বড়া বাইরে থেকে রান্না করে আনা হয়েছিল। এরপর নাম না করে মমতার বাক্যবাণ, তুমি মিথ্যে বলেছ! তুমি আদিবাসীদের অপমান করেছ। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছ। রবীন্দ্রনাথ বলে অন্যজনের গলায় মালা দিয়েছ। এবার সাঁওতাল বীর বিরসা মুণ্ডার মূর্তি বদলে এক শিকারীর মূর্তিতে মালা দিয়ে এলে। এটা বিরসা মুণ্ডার অসম্মান, আদিবাসীদের অপমান। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওখানেই বিরসা মুণ্ডার মূর্তি স্থাপন করা হবে। আর বিরসা মুণ্ডার জন্মদিনটিতে (১৫ নভেম্বর) ছুটি ঘোষণা করবে রাজ্য সরকার।