কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিল্লি পাবলিক স্কুল (রুবি পার্ক)-এর এক মুখপাত্র বলেন, এমনি তো আমরা অনলাইন ব্যবস্থার সঙ্গে স্বচ্ছন্দ। মার্চে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়া হয়েছিল। আর নার্সারিতে তো লিখিত পরীক্ষার ব্যাপার নেই। সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীকে রাখতে বলা হচ্ছে। তারপর ভিডিও কলের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে ওই পড়ুয়া সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছে কি না, সে কী করছে, অর্থাৎ তার অ্যাক্টিভিটি দেখা হচ্ছে।
রামমোহন মিশন স্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানান, তাঁরা অভিভাবকদের ইন্টারভিউ অনলাইনেই নিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের অবশ্য অনলাইনে ডাকা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলেও তিনি মনে করেন। এখনও সেই ভাবেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে। সাউথ পয়েন্ট স্কুল আবেদনের মধ্য থেকে নিজস্ব মাপকাঠি অনুযায়ী পড়ুয়াদের বাছাই করে নিয়েছিল। সেই বাছাই করা প্রার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপালের সঙ্গে অনলাইন আলোচনায় বসতে হয়েছে।
একই পথে হেঁটেছে লক্ষ্মীপৎ সিংহানিয়া অ্যাকাডেমিও। অনেক স্কুলই বলছে, দেখা যাচ্ছে, এই পদ্ধতিতে স্কুল এবং অভিভাবক উভয়ের সুবিধা হচ্ছে। তাই ভবিষ্যতে এই পদ্ধতি চালিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে তারা।
শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ বলছেন, আপৎকালীন পরিস্থিতি হিসেবে এই ব্যবস্থা ঠিক আছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়াই ভালো। ‘অনলাইন ইন্টারাকশন’—সামনাসামনি কথা বলার বিকল্প হতে পারে না। সামনাসামনি কথা বললে অনেক কিছু পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, যা অনলাইনে সম্ভব নাও হতে পারে। অনেক অভিভাবকও এই ব্যবস্থার সঙ্গে সড়গড় নাও থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে সন্তানকে পছন্দের স্কুলে পড়ানোর স্বপ্ন তাঁদের অধরা থেকে যাবে।